ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিপুল সংখ্যক মানব পাচারের দায়ে কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুলের কাছে থেকে ঘুষ গ্রহনের অপরাধে মেজর জেনারেল মাজেন আল কারাহ নামে একজন উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে কুয়েত সরকার।জেনারেল মাজেন কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন উপ সহকারী সচিব ছিলেন।
কুয়েতের উপ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব আনাস আল সালেহ এর হুকুমে জেনারেল মাজেন কে বরখাস্ত করা হয় বলে কুয়েতের প্রভাবশালী দৈনিক আরব টাইমসের খবরে জানা যায়।
বাংলাদেশের সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুল কে গত ৭ই জুন ২০২০ এ কুয়েতের সিআইডি গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০০০ বাংলাদেশী শ্রমিক কুয়েতে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই অবৈধ কর্মকান্ডে তিনি ১০০০ কোটি টাকার আর্থিক ফায়দা অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ কুয়েতের গোয়েন্দা সংস্থা গুলো তদন্ত করে একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই তাকে আটক করে বলে জানা যায়।
এই বিশাল অবৈধ কর্মকান্ড চালাতে পাপুল কুয়েত সরকারের বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাকে বিপুল অর্থ ঘুষ দিয়ে তার সাথে সামিল করে বলে অপর একটি দৈনিক কুয়েত টাইমস জানায়।
এপ্রসঙ্গে কুয়েতের উপ প্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ জানান এই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে এবং বাংলাদেশী এমপি সহিদ ইসলামের এই অবৈধ কর্মকান্ডের কুয়েতি সহযোগীদের সহসাই গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।ভবিষ্যতে এহেন অবৈধ মানব পাচার রোধে কুয়েতের বিদ্যমান আইন সংশোধন করে আরও কঠোর করা হবে।
এই লজ্জাজনক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত এস এম আবুল কালামকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে অবৈধ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মোমেন ইতিমধ্যেই গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন।