DMCA.com Protection Status
title="৭

জ্যোতির্ময় জিয়া-যে লেখার কারনে চাকুরী হারালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.মোর্শেদ হাসান।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াকে নিয়ে পত্রিকায় একটি আর্টিকেল লেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি চ্যুত করেছে এক স্বনামধন্য শিক্ষককে। এই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।

গতকাল বুধবার সিন্ডিকেট সভায় মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে দৈনিক নয়া দিগন্তে ড. মোর্শেদ হাসান খান এই নিবন্ধটি লেখেন।

পাঠককূলের কৌতুহল মেটাতে 'জোতির্ময় জিয়া' লেখাটি এখানে মুদ্রিত হলোঃ

"জ্যোতির্ময় জিয়া"

ড. মোর্শেদ হাসান খান

যুগে যুগে পৃথিবীতে এমন কিছু ক্ষণজন্মা পুরুষের জন্ম হয়, যারা দেশ কাল পেরিয়ে বিশ্বদরবারে নিজ অবস্থান স্থায়ী করে নিয়েছেন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে, স্বীয় কর্মগুণে। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের আলোকে তেমনি একজন মানুষ সম্পর্কে দু-চারটি কথা লিখতে যাচ্ছি। তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক রাষ্ট্রনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মা জাহানারা খাতুন রানীর কোলজুড়ে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব হয়। তার ডাক নাম রাখা হয় কমল।

তার পিতার নাম মনছুর রহমান। তিনি পেশায় ছিলেন রসায়নবিদ এবং অবিভক্ত ভারত সরকারের কর্মকর্তা এবং কর্মসূত্রে কলকাতায় বসবাস করতেন। তাইতো জিয়াউর রহমানের লেখাপড়ার হাতেখড়ি কলকাতার বিখ্যাত হেয়ার স্কুলে। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই বয়েজ স্কুলে লেখাপড়া করেন। হেয়ার স্কুলে পড়ার সময় জিয়াউর রহমানের শিশুমনে ব্যাপক রেখাপাত করেন দু’জন রাজনৈতিক নেতা- নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসু ও মহাত্মা গান্ধী। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জিয়াউর রহমানের পরিবার পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যায়। পিতার কর্মসূত্রে করাচিতে নতুন জীবন শুরু করেন তারা। করাচির ডিজে কলেজে শিক্ষাজীবন শুরু করেন জিয়াউর রহমান। এই কলেজে পড়ার সময় তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন। করাচি কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণকালে পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান ব্যাপক অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও চাকরি লাভের অধিকারের বৈষম্য তার মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানি ও পশ্চিম পাকিস্তানিদের মাঝে বিরাজমান বৈষম্য দূর করার মানসে তিনি বাঙালি যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতেন সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বাঙালি সেনা ও অফিসারদের রোল মডেলে পরিণত হন। মেজর পদে উন্নীত হওয়ার পর তাকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি করা হয়, প্রথম জয়দেবপুরে পরে চট্টগ্রামে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে যখন পাক-হানাদার বাহিনী এ দেশের নিরীহ, নিরপরাধ ও ঘুমন্ত মানুষের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে, তখন তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধের লেশমাত্র পাওয়া যায়নি। আর মানুষ এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না। ফলে বিনা প্রতিবাদে ও বিনা বাধায় ঝরে যায় মূল্যবান জীবন ও বিনষ্ট হয় অনেক সম্পদ। এমনি এক পরিস্থিতির মাঝে আওয়ামী নেতাদের বেশির ভাগই তাদের পরিবার-পরিজনসহ ভারতে চলে গেলেন, এ দেশবাসীকে মৃত্যুর ফাঁদে ফেলে দিয়ে। নেতৃত্বহীন অবস্থায়। যাকে ঘিরে এ দেশের মানুষ মুক্তির স্বপ্ন দেখত সেই শেখ মুজিবুর রহমানও। জাতির এই সঙ্কটকালীন মুহূর্তে ত্রাতারূপে আবির্ভূত হন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। দেশপ্রেমের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত এই টগবগে যুবকের কণ্ঠে ২৬ মার্চ রাতে বজ্রের মতো গর্জে ওঠে স্বাধীনতার ঘোষণা।

তার এই ঘোষণা ছিল সময়োচিত এবং সাহসিক। জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশবাসী ঝাঁপিয়ে পড়েন রণাঙ্গনে। সেই সূত্রেই স্বাধীনতার লাল গোলাপ ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয় এ দেশবাসী।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ধ্বজাধারী একটি শ্রেণী জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মানতে নারাজ। এরা কথায় কথায় জিয়াউর রহমানকে কটাক্ষ করে কথা বলে থাকে। এরা সবসময় নিজের মতো করে ইতিহাস রচনা করতে চায়। এরা জানে না যে ইতিহাস তার আপন গতিতেই বয়ে চলে। ইতিহাসের আলোকেই দেখা যায়- আওয়ামী লীগের পরম বন্ধু ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক ও সমাজের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের এক সমাবেশে বলেছিলেন- “The cry for independence arose after Sheikh Mujib was arrested and not before. He himself, so far as I know, has not asked for independence even now.” অর্থাৎ 'স্বাধীনতার ডাক এসেছিল শেখ মুজিব গ্রেফতার হওয়ার পর, তার আগে নয়। আমার জানা মতে, তিনি কোনো সময় স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমানকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় যে কতটা পরিচিত ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে তা ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টিপাত করলেই পরিলক্ষিত হয়। ১৯৭৭-এর ২৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়া ভারত সফরে গেলে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ভারতের রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডি তার সম্মানে আয়োজিত এক ভোজসভায় বলেন, ‘একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাদানকারী হিসেবে আপনার মর্যাদা এরই মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত।

ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরে জাতীয় অগ্রগতি এবং জনকল্যাণে নিবেদিত একজন জননেতা হিসেবে বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের বাইরে আপনি গভীর শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।’ [‘Your position is already assured in the annals of the history of your country as a brave fighter who was first to declare the independence of Bangladesh.Since you took over the reins of government in your country, you have earned wide respect both in Bangladesh and abroad as a leader dedicated to the progress of your country and the well being of your people.’]

দীর্ঘ ২৬৬ দিনের লড়াই-সংগ্রামে ৩০ লাখ তাজা প্রাণের রক্ত ও তিন লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে মেজর জিয়া নায়কোচিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও স্বাধীনতার পরপরই তিনি তার কর্মস্থলে ফিরে যান। সদ্য স্বাধীন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পিত হয় শেখ মুজিবুর রহমানের কাঁধে। সমগ্র দেশবাসী শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘিরেই তাদের স্বপ্নের জাল বোনে, আশার প্রদীপ জ্বালে, সোনার বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে আবদ্ধ হয়। কিন্তু শেখ মুজিব সবাইকে হতাশ করলেন। তাদের স্বপ্ন পূরণে তিনি সক্ষম হননি। কেনো পারেননি সে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ আলাদা ব্যাপার। কিন্তু দেশবাসী দেখল একসময় তিনি দেশব্যাপী একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা চালু করে নিজেই যেন দাঁড়িয়ে গেলেন নিজের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে।

তার শাসনামলেই ১৯৭৪-এ দেশ এক ভয়ানক দুর্ভিক্ষের করালগ্রাসে নিপতিত হয়। দুর্ভিক্ষ এতটাই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল যে, কবি রফিক আজাদ লিখতে বাধ্য হন, ‘ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খামু’। ১৯৭২-৭৫ এর ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত দেশে বাকস্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। সরকারের অনুগত চারটি পত্রিকা রেখে বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়। সরকারের কোনো কাজের সমালোচনা কিংবা কোনো জনকল্যাণ বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলেই শুরু হতো অমানুষিক নির্যাতন-নিপীড়ন। এমনকি গুম-হত্যাও শুরু হয় ব্যাপক আকারে। সরকারের এই দমন-পীড়ন, নির্যাতন ও বাকস্বাধীনতা হরণের প্রতিবাদে বিশিষ্ট ছড়াকার আবু সালেহ লিখেন, ‘ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, বলা যাবে না কথা; রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা’। এমনি এক নৈরাজ্যময় পরিবেশ-পরিস্থিতির মাঝে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতীয় জীবনে সংঘটিত হয় আরেক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে সামরিক বাহিনীর একাংশের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। জাতি আবার ঘোর অন্ধকারের অমানিশায় পথ হারায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাসদ যদি ৭ নভেম্বর (১৯৭৫) সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসতে পারত তবে তা সারা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের জন্য মহাবিপদ হিসেবে দেখা দিত। কারণ জাসদের সংগঠন বাংলাদেশের প্রতিটি থানা পর্যন্ত ছিল। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দল হলো জাসদ। যার কারণে ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সাথে জাসদের অনেক নেতা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতার পাদপ্রদীপে আসায় আওয়ামী লীগ ধ্বংসযজ্ঞের সেই যাত্রা থেকে পরিত্রাণ পায়। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, সেই জাসদই আজ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার পরম বন্ধু। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই রাজনৈতিক দলবিধি জারি করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথকে উন্মুক্ত করে দেন। শেখ মুজিব বাকশাল গঠনের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করেছিলেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের প্রতি কত সহনশীল ছিলেন তার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে তিনি তা দেখিয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল জাতীয় সংসদে শেখ মুজিবের নামে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে বলা হয় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে প্রস্তাব করছে যে, ‘বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ রাজনীতি জগতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে। এই সংসদ তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।’ পরে জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। অথচ সেই সংসদে দাঁড়িয়েই আজ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা ও তার চেলাচামুণ্ডারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করছে, তার স্বচ্ছ ইমেজকে কালিমাযুক্ত করার প্রতিনিয়ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। তবে আওয়ামী শিষ্টাচার বলে গ্রহণযোগ্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির কারণে ১৫ আগস্টের মতো বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সত্যিকারার্থে ফলপ্রসূ হয় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত ও দার্শনিক চিন্তাচেতনার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে। জিয়াউর রহমান যে জনগণের কতটা কাছাকাছি গিয়েছিলেন, জনগণ তাকে কতটা কাছে টেনে নিয়েছিল তার বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে লরেন্স জায়রিং-এর লেখায়। ‘A People’s President’ সাব হেডিং-এ লরেন্স জায়রিং (Lawrence Ziring, Bangladesh : from Mujib to Ershad : An Interpretive Study) গ্রন্থের ১৪৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “Zia ingratiated himself with the peasant masses.They received his primary attention and whenever his schedule permitted, he helicoptered around the country, dropping out of the sky often unannounced to view peasant conditions, first hand and to discuss the methods and the resources available to raise them from their poverty.’’ অর্থাৎ ‘জিয়া জনগণের মাঝে তাদের একজন হিসেবে মিশে গেলেন। তারাই জিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং যখনি তিনি সময় পেতেন তখনি হেলিকপ্টারে চড়ে দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে দেখতেন। কোনো ঘোষণা ছাড়াই অকস্মাৎ আকাশ থেকে তিনি নেমে আসতেন নিজের চোখে দরিদ্র কৃষকদের অবস্থা দেখতে এবং দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্ত করার উপায় এবং উৎস সম্পর্কে আলোচনা করতেন।’

তাইতো জন্মের ৮২ বছর পরও তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন স্বমহিমায়, জ্যোতির্ময়তায়।

লেখক : অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ ও সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!