ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এবার প্রায় ৫শ' কর্মশালা এবং সেমিনার না করেই ভুয়া বিল দেখিয়ে ১৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের IEM ইউনিট পরিচালক ড. আশরাফুন্নেসার বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয়, অধিদপ্তরের ঠিকাদারির দায়িত্ব নিয়ে কাজ না করেই টাকা তুলে নিয়েছে এই পরিচালকের ভাগ্নে ও চাচাত ভাইয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
পরিবার পরিকল্পনার অধিদপ্তরের কর্মশালাগুলো যেন অবৈধ অর্থ উপার্জনের খাত। গেল দুই অর্থবছরে কর্মশালা না করেই ভুয়া বিল জমা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অসাধু কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট। অভিযোগের তীর পরিচালক আশরাফুন্নেসার দিকে।
নথিপত্রে দেখা যায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের উপজেলা পর্যায়ে ৪৮৬ টি কর্মশালা বাবদ ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কাগজে কলমে হয়েছে সবই। বাস্তব চিত্র ভিন্ন। অফিসে বসেই সই জাল করেও টাকা আত্মসাত করেছেন কর্মকর্তারা। কোন কাজ না করেই ৫৭টি কোটেশনে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং পরের বছর ৪৮টি কোটেশনের মাধ্যমে আরো ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা তুলে নেন আশরুফুন্নেসা।
এছাড়া ভাগ্নের প্রতিষ্ঠান রুহি এন্টারপ্রাইজ ও চাচাতো ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান সুকর্ণ ইন্টারন্যাশনালকে বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজ দেন তিনি। কাজ না করেই তারা তুলে নেন ১ কোটি ৮৫ লাখ। ঠিকাদার নিয়ন্ত্রণ করেন আশরাফুন্নেসার ভাই মাহমুদুল হাসান রানা।
দুদকের সচিব দিলোওয়ার বখত জানান দুদক ছাড়াও এসব অভিযোগে তদন্ত করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিছু প্রমাণও মিলছে।
এখন পর্যন্ত ড. আশরাফুন্নেসা ছাড়া অধিদফতরের ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।