ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, অবৈধ হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং মিডনাইট এমপি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, এদেশে আলেমদের ফতোয়া দেওয়ার আইনগত কোনো অধিকার নেই, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আদেশ দিয়েছিলেন, একমাত্র ইসলামী ফাউন্ডেশনই ফতোয়া দেওয়ার সামর্থ্য রাখে।
তারা এখানেও আইন ভাঙলো, আমরা আশা করি তাদের আইন ও সংবিধান বিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গতকাল শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত পলিটব্যুরোর সাবেক সদস্য প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা সফিউদ্দীন আহমেদ, আবুল হোসেন ও সিরাজুল ইসলামের শোকসভার ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, গণপ্রতিরোধের মুখে পরে রাজনৈতিক ধর্ম ব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি দিয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছেন। পাকিস্তান আমলে যখন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে দেশবাসী রুখে দাঁড়িয়েছিল, তখন এরাই ফতোয়া দিয়েছিল মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অর্থ হবে মসজিদ ভাঙার সমান।
তিনি বলেন, আলেমদের প্রতি আমার পরামর্শ হলো পাকিস্তান গিয়ে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ভাস্কর্য হারাম বলে ভাঙার ফতোয়া দিন। ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানে জিন্নাহর ভাস্কর্য থাকতে পারলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা হবে, এটা হতে পারে না। আসলে তারা তাদের অতীতকে ভুলতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যথাযথই পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে একাত্তরে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তেমনি এদেরকেও তাদের একাত্তরের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নজরুল হক নিলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মোজাম্মেল হক ফিরোজ, জাকির হোসেন, ফাইজুল হক বারি ফারাহিন, ছাত্র মৈত্রীর নেতা শামিল শাহরোখ তমাল প্রমুখ।