DMCA.com Protection Status
title="৭

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে জনসমর্থনহীন বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেঃ হাছান মাহমুদ।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনসমর্থনহীন বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অবৈধ হসিনা সরকারের তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  

তিনি বলেন, বিএনপি অতীতেও সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।

কিন্তু আজকে তারা বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। পাহাড়তলী, আমবাগান, লালখানবাজার, পাথরঘাটা, দেওয়ানবাজারের বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীদের আক্রমণ করেছে বিএনপির কর্মীরা।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসভবনে চটগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে আমির খসরু মাহমুদ সাহেব সংবাদ সম্মেলন করেছেন, ঢাকায় বসে রিজভী সাহেব সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা আগে থেকেই জানতাম, এ সমস্ত প্রশ্ন তোলার জন্যই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তারা সব নির্বাচনে গৎবাধা এ ধরনের প্রশ্ন তোলেন।  

 আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে এমন একটি বিধি করেছে, যারা এমপি তারা নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। এই শহরে (চট্টগ্রাম) আমার জন্ম। এই শহর থেকেই আমার রাজনীতি শুরু। জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের মিছিলের কর্মী হিসেবে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। কিন্তু এই নির্বাচনে আমরা কোনো ভূমিকা রাখতে পারিনি দলের পক্ষে।  

তিনি বলেন,  দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকেও কোনো ভূমিকা রাখতে পারিনি। এরকম বৈষম্যমূলক বিধান আশেপাশের কোনো দেশে নেই। ভারতে রাজ্যের এমপি, মন্ত্রীরা ও কেন্দ্রের এমপি, মন্ত্রীরা প্রটোকল, সরকারি সুযোগ সুবিধা বাদ দিয়ে দলের পক্ষে সবধরনের প্রচারণা চালাতে পারেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও পারে, শুধু আমাদের দেশে পারেনা। চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো কাজ আমরা করতে পারিনা। এটি বৈষম্যমূলক বিধান সরকারি দলের জন্য।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনায় এখনও প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মাঝে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, পাশাপাশি আজকে কোনো সরকারি ছুটি দেওয়া হয়নি। এ কারনে ভোটার টার্নআউট অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে কম হয়েছে।  

হায়ারে বিএনপির পক্ষে খেলতে গিয়েছিলেন মনজুর আলমঃ

 আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ১৯৯৪ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে বিএনপি জিততে পারেনি। ২০১০ সালে বিএনপির হয়ে যিনি জিতেছেন, সেই মনজুর আলম মূলত আওয়ামী লীগের মানুষ। বিএনপি আওয়ামী লীগের মানুষকে হায়ারে খেলতে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বিএনপির ভরাডুবি হয়ে আসছে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগের মানুষ মনজুর আলমকে হায়ারে খেলতে নিয়ে জিতেছিলেন বটে। প্রকৃতপক্ষে মনজুর আলম আওয়ামী লীগের মানুষ হওয়ায় আওয়ামী লীগের লোকজনও তাকে ভোট দিয়েছিলেন। সে কারণেই সেদিন বিএনপি জিততে পেরেছিল। হায়ারে খেলাশেষে তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছেন।

ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কক্সবাজারের সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!