DMCA.com Protection Status
title="৭

১৪৭ পৌর মেয়র নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবিঃঅবিশ্বাস্য ফলাফলে ভোট ডাকাতির অভিযোগ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত অন্য সকল নির্বাচনের মতোই ৩য় দফা মেয়র নির্বাচনের ফলাফলেও কোনো ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। 

চলতি সপ্তাহের তিন দফার  পৌরসভা নির্বাচনে ১৬৭ টি পৌর মেয়র নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির। এর মধ্যে ৬৮টি পৌরসভায় বিএনপির অবস্থান হয়েছে তৃতীয়।

  রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক মো. সিরাজুল হক পেয়েছেন মাত্র ৭৮ ভোট। এ নির্বাচনে বৈধ ভোট পড়ে ১৭ হাজার ২৪০টি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্বাস আলী ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত এ পৌরসভা নির্বাচনে ২২ হাজার ২৩৯টি ভোটের মধ্যে পড়েছে ১৭ হাজার ২৫৬টি।

১৬টি ভোট বাতিল হয়। বাকি ভোট পেয়েছেন তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে পাবনার চাটমোহর পৌরসভা নির্বাচনে।

সেখানে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান আরশেদ পেয়েছেন ৮৫ ভোট। তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত জাজিরা পৌরসভা নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থী মাত্র ৮৫ ভোট পেয়েছেন।

শুধু রাজশাহীর কাটাখালী, পাবনার চাটমোহর বা শরীয়তপুরের জাজিরা নয়, অন্তত ৬৮টি পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিযোগিতামূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেতে পারেননি বিএনপি প্রার্থীরা।

অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় অবস্থানেও যেতে পারেননি দলটির প্রার্থীরা। তবে ৭২টিতে ভোট পাওয়ার সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিএনপি।

এসব পৌরসভার অনেকগুলোতেই জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে বিএনপির ভোটের বড় ব্যবধান রয়েছে। এছাড়া ৬৮টি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা এতই কম ভোট পেয়েছেন যে জামানতের টাকাও রক্ষা করতে পারেননি।

৩৯টি পৌরসভায় দলটির প্রার্থীদের ভোট হাজারের ঘর অতিক্রম করেনি। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত ১৪৭ পৌরসভায় নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

তিন ধাপে ১৪৭টি পৌরসভায় ভোট হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ১১১টি, বিএনপি ৯টি ও স্বতন্ত্ররা ২৫টিতে মেয়র পদে জয় পেয়েছেন।

এর বাইরে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) একটি করে পৌরসভায় জয় পেয়েছে। তিন ধাপে ৭টি পৌরসভায় বিএনপিসহ অন্য কেউ না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন। 

চলমান পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারার কারণ হিসাবে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং সরকারি দলের প্রভাবকে দায়ী করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

তবে তৃণমূলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা প্রশাসন ও সরকারি দলের বাইরেও বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, প্রচারে না থাকা, সাংগঠনিক দুর্বলতা ও মনোনয়ন বাণিজ্য অনেকটা দায়ী বলে মনে করেন।

কয়েকটি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা ঠিকভাবে প্রচারেও নামেননি বলে অভিযোগ তাদের। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী  বলেন, ভোটের নামে প্রহসন চলছে। বিএনপির নেতাকর্মী ও এজেন্টদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে।

তাদের কেন্দ্রে যেতে দেয়া হচ্ছে না। সরকারি দল, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন মিলে একটা নির্বাচনী প্রজেক্ট চলছে। এ কারণে ফলাফলে ভোটের চিত্র বেরিয়ে আসেনি। সুষ্ঠু ভোট হলে ফলাফল ভিন্ন হতো। 

তবে মাঠপর্যয়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে ভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। প্রথম ধাপে কাটাখালী পৌরসভা নির্বাচনে মাত্র ৭৫ ভোট পাওয়ার বিষয়ে প্রার্থী অধ্যাপক মো. সিরাজুল হক দায়ি-এমন মন্তব্য করেছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ বাবু।

তিনি বলেন, পবা উপজেলা বিএনপির সুপারিশ অনুযায়ী অধ্যাপক মো. সিরাজুল হককে মনোনয়ন দেয়া হয়। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি কোনো ধরনের প্রচার চালাননি।

এমনকি আমরা জেলার নেতারা ৪-৫ বার তার বাড়িতে গিয়েও তাকে নির্বাচনি মাঠে নামাতে পারিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কেন তিনি এ ধরনের কাজ করলেন তা আমরা জানি না। 

গাইবান্ধা সদরে বিএনপি প্রার্থী ৯১৮ ভোট ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা ২০০ ভোট পান বিএনপির প্রার্থীরা। দলটির প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মঈনুল হাসান সাদিক বলেন, অনেক কারণ আছে।

সব কারণ বলতে পারব না। তবে বিএনপির কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করেননি-এটা অস্বীকার করতে পারি না। এছাড়াও অর্থনৈতিক ফ্যাক্টর ছিল। অর্থনৈতিক ফ্যাকটর বলতে কী বুঝিয়েছেন তার ব্যাখ্যা করেননি তিনি। 

পাবনার চাটমোহর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মো. আসাদুজ্জামান আরশেদ মাত্র ৮৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র এসএম আব্দুল মান্নান (মোবাইল ফোন প্রতীক) ৮৪২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন।

মেয়র নির্বাচিত হওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সাখো পেয়েছেন ৬ হাজার ৮১২ ভোট। প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত এ পৌরসভা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র মির্জা রেজাউর করিম দুলাল পেয়েছেন ১৬১ ভোট।

১২ হাজার ২৩৮ ভোটারের এ পৌরসভায় মোট ভোট পড়েছে ৭ হাজার ৯০৪টি। এর মধ্যে ৪টি ভোট বাতিল হয়। এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পরাজয়ের অনেক কারণ রয়েছে।

এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমাদের দলীয় প্রার্থী জনসমর্থন ছিল না। বাকি কারণগুলো জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।  

তিন ধাপে বিএনপির ভোট : ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ২৪টি পৌরসভা নির্বাচনে ১৯টিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে বিএনপি ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন।

ওই ধাপে মেয়র পদে পড়া মোট ভোটের ৬৪ দশমিক ০৬ শতাংশ ভোট পান ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থীরা পান ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট।

ভোট পড়ার হার ছিল ৬৫ দশমিক ২৮ ভাগ। প্রথম ধাপে বিএনপির ১২ জন প্রার্থী তাদের জামানত রক্ষা করতে পারেননি। 

অপরদিকে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ৬০টি পৌরসভা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারজনসহ আওয়ামী লীগের ৪৬ জন (কিশোরগঞ্জসহ), দলটির বিদ্রোহী চারজন এবং বিএনপির চারজন ও বিএনপির বিদ্রোহী ২ জন মেয়র নির্বাচিত হন।

এছাড়া জাতীয় পার্টির একজন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একজন মেয়র নির্বাচিত হন। এ ধাপে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র পদে ৬০ দশমিক ০৩ শতাংশ ও বিএনপির প্রার্থীরা ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পান।

ভোট পড়ার হার ছিল ৬১ দশমিক ৯২ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে বিএনপির ২৯ জন জামানত হারিয়েছেন। 

তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ৬৩টি পৌরসভার মধ্যে মাত্র তিনটিতে মেয়র পদে জয় পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা ৪৬টিতে জয় পেয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ১৪টিতে; যাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী। এ ধাপে মেয়র পদে পড়া ভোটের ৬১ দশমিক ৮৫ শতাংশ আওয়ামী লীগ ও ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ বিএনপির প্রার্থীরা পেয়েছেন। এ ধাপে বিএনপির ২৭ জন ও আওয়ামী লীগের দুজন জামানত জারিয়েছেন। 

ফল বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, তিন ধাপে ভোট হওয়া ১৪৭টি পৌরসভার মধ্যে ৬৮টিতে প্রতিযোগিতায় আসতে পারেনি বিএনপি।

অর্থাৎ এসব পৌরসভায় ভোট পাওয়ার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানও অর্জন করতে পারেননি দলটির মেয়র প্রার্থীরা। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৮টি ও তৃতীয় ধাপে ২৫টি পৌরসভা রয়েছে।

তবে ৭২টিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৯টি, দ্বিতীয় ধাপের ২৭টি ও তৃতীয় ধাপে ৩৬টি পৌরসভা রয়েছে।

কয়েকটিতে বিএনপি প্রার্থী দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও ভোটের সংখ্যা বিবেচনায় বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ সেখানেও প্রতিযোগিতায় আসতে পারেননি। তবে কয়েকটিতে অল্প ব্যবধানে হেরেছেন বিএনপির প্রার্থীরা।

যেসব পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সেগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড় সদর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, কুষ্টিয়ার খোকসা, বরগুনার বেতাগী, বরিশালের উজিরপুর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, মানিকগঞ্জ সদর, ঢাকার ধামরাই ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড।

আরও রয়েছে, নওগাঁর নজিপুর, রাজশাহীর কাকনহাট, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ সদর, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ, পাবনার ঈশ্বরদী, ফরিদপুর ও সাঁথিয়া, কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী ও মিরপুর, বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট, মাগুরা সদর, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জ সদর ও কুলিয়াচর, ঢাকার সাভার, নরসিংদীর মনোহরদী, সুনামগঞ্জ সদর ও ছাতক। ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর বসুরহাট, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, বান্দরবানের লামা, কিশোরগঞ্জ সদর ও গাজীপুরের শ্রীপুর। 

তৃতীয় ধাপের ৩৬ পৌরসভা হচ্ছে- দিনাজপুরের হাকিমপুর, নীলফামারীর জলঢাকা, কুড়িগ্রামের উলিপুর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়ার শিবগঞ্জ ও নন্দীগ্রাম, নওগাঁর ধামইরহাট, রাজশাহীর কেশরহাট, নাটোরের সিংড়া এবং চুয়াডাঙ্গার দর্শন।

আরও রয়েছে, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, যশোরের মনিরামপুর, নড়াইল সদর ও কালিয়া, ভোলার বোরহানউদ্দিন, বরিশালের গৌরনদী, টাঙ্গাইল সদর, মির্জাপুর, ভূঞাপুর ও মধুপুর, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের ভালুকা, নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি, মুন্সীগঞ্জ সদর, শরীয়তপুরের নড়িয়া, মৌলভীবাজার সদর, কুমিল্লার বরুড়া ও চৌদ্দগ্রাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফেনী সদর, নোয়াখালীর হাতিয়া ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ।

এক হাজারের কম ভোট ৩৯ পৌরসভায় : ফল বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, তিন ধাপে ৩৯টি পৌরসভায় এক হাজারের কম পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ১৫টি ও তৃতীয় ধাপে ১৬টি পৌরসভা রয়েছে।

প্রথম ধাপের পৌরসভাগুলো হচ্ছে- বরগুনার বেতাগী (৫১৯ ভোট), বরিশালের উজিরপুর (৮৩৫ ভোট), ময়মনসিংহের গফরগাঁও (১৯০ ভোট), রাজশাহীর কাটাখালী (৭৮ ভোট), পটুয়াখালীর কুয়াকাটা (৩২৬ ভোট), মৌলভীবাজারের বড়লেখা (৫৯৪ ভোট), রংপুরের বদরগঞ্জ (২৯৮) ও পাবনার চাটমোহর (৮৫ ভোট)।

দ্বিতীয় ধাপ ১৫টি পৌরসভা হচ্ছে- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ (৯৯৮ ভোট), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী (৮০৯ ভোট), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ (২০০ ভোট), গাইবান্ধা সদর (৯১৮ ভোট), বগুড়ার সারিয়াকান্দি (৪৯৪ ভোট), নাটোরের গুরুদাসপুর (৬৯২ ভোট), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ (৫৭৫ ভোট), মেহেরপুরের গাংনী (৪৮৮ ভোট) ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা (৮৩৮ ভোট)। এ তালিকায় আরও রয়েছে বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট (৫৯২ ভোট), নরসিংদীর মনোহরদী (৫৮৫ ভোট), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর (৮১৭ ভোট), মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ (৩০১ ভোট), ফেনীর দাগনভূঞা (৯৩৯ ভোট) ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ (৭১১ ভোট)।  

তৃতীয় ধাপের পৌরসভাগুলো হচ্ছে- নড়াইলের কালিয়া (৬২৫), সাতক্ষীরার কলারোয়া (৫০৫), বরগুনা সদর (৮৯৪) ও পাথরঘাটা (৪২৫), ভোলার বোরহানউদ্দিন (৬৬২) ও দৌলতখান (৮৪০), বরিশালের গৌরনদী (৬৭৯), ঝালকাঠীর নলছিটি (৩৮০)।

আরও রয়েছে, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী (৯৭৩), টাঙ্গাইলের সখিপুর (৫০৫), ময়মনসিংহের গৌরিপুর (৯২৮) ও ঈশ্বরগঞ্জ (২৬২), শরীয়তপুরের নড়িয়া (৪৫৪), ভেদরগঞ্জ (২১৩), জাজিরা (৮৫) ও সিলেটের জকিগঞ্জ (৬০৭) ভোট।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!