DMCA.com Protection Status
title="৭

ডিজিটাল আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু!!!!!

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হাসিনা সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক এবং কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি মারা যান।
গনমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ুম। এছাড়া গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ শরীফ মুশতাকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, বন্দীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
র‍্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছরের মে মাস থেকে কারাবন্দী মুশতাক গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। কারা সূত্রমতে, মুশতাক আহমেদ কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে যান। হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পারিবারিক সূত্রমতে, আজ (শুক্রবার) মুশতাকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মুশতাকের স্ত্রী লিপা আক্তার সম্প্রতি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
কুমির চাষের ডায়েরি নামে বইয়ের লেখক মুশতাক ‘মাইকেল কুমির ঠাকুর’ নামে একটি ফেসবুক পাতাও পরিচালনা করতেন, যাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য উঠে আসতো। লালমাটিয়ায় স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন তাদের একমাত্র পুত্রসন্তান মুশতাক।তিনি ছিলেন বাণিজ্যিকভাবে দেশে কুমির চাষের অন্যতম প্রবক্তা।
এ বছরের ১১ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ এবং রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। গত বছরের মে মাসে রমনা থানায় মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে র‍্যাব তিনটি মামলা করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, তারা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধ করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, মুশতাক আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আই অ্যাম বাংলাদেশি (ইংরেজি হরফে লেখা) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনা, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির’ অভিযোগ আনা হয়েছিল। এজাহারে র‍্যাব দাবি করে- মুশতাক আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদে দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। অবশ্য গত সেপ্টেম্বরে এই মামলায় গ্রেপ্তার মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাকের জামিন হয়নি। মোট ছয় বার মুশতাকের জামিন আবেদন নাকচ হয়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!