DMCA.com Protection Status
title="৭

হাসপাতালেই কাটলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃসঙ্গ ঈদ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গতকাল ছিলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। যদিও বিশ্বময় মহামারি করোনার ফলে সবাই এক বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় পার করছে, তারপরও বিশ্বমুসলিম উম্মাহ অত্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। এদিকে এবার হাসপাতালেই মুমুর্ষ এবং নিঃসঙ্গ ভাবে অবস্থায় ঈদ কেটেছে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার।

গত ২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৩ মে থেকে তিনি হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি কোভিড নেগেটিভ হলেও বেশকিছু জটিলতা রয়েছে। ফলে এবারের ঈদে তিনি হাসপাতালে থেকেছেন।

দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ঈদের দিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ঈদের দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখা করেছেন। পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম দলের স্থায়ী কমিটির অল্প কয়েকজন নেতাকে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন।

 

বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় ও তাঁর চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালেও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ঈদের দিন কাটিয়েছিলেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঈদ কাটানোর বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৮ সালে মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর থেকেই আমাদের ঈদের আনন্দ হারিয়ে গেছে। এবার সেটা আরও নেই। কারণ বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর অন্যদিকে করোনার থাবা, সব মিলিয়ে ঈদের আনন্দ এখন আর দলের কোনো নেতাকর্মীকে স্পর্শ করে না।’

একসময় খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মী ও কূটনৈতিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। 

প্রতি বছর রমজান মাসজুড়ে চলে ‘ইফতার রাজনীতি’। সেটার পূর্ণতা পায় ঈদের দিন। এদিন রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে ঈদের নামাজের পর তৃণমূলের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে কোলাকুলি করতেন। সারাবছর নেতাকর্মীদের খোঁজ না নিলেও ঈদের দিন তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনতেন। ঈদের সালামিও দিতেন। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে গত বছর থেকে তা বন্ধ আছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি গত ১১ এপ্রিল দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। এরপর গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় চিকিৎসা নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তবে ১৫ দিন পর করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট ফের পজিটিভ হলে ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে।

 

গত ৩ মে সকালে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে সিসিইইতে নেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি সিসিইইতেই চিকিৎসাধীন। তবে এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর মাঝে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!