‘যারে যাবি যদি যা, পিঞ্জর খুলে দিয়েছি’ শিরোনামের গানটি কমবেশি সবাই শুনেছি, এই গানটির মতো অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গানের কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার বশির আহমেদ আর নেই (ইন্না ইল্লাহি…….রাজিউন)।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটে। শনিবার রাত রাত দশটার দিকে মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জহুরী মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তার মরদেহ মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডের কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, বশির আহমেদ ১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতার খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খাঁর কাছে তালিম নেন তিনি। ‘তালাশ’ চলচ্চিত্রে বিখ্যাত শিল্পী তালাত মাহমুদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। ঢাকায় আসার আগেই উর্দু চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন বশির আহমেদ। চলচ্চিত্রে ‘যব তোম একেলে হোগে হাম ইয়াদ আয়েঙ্গে’ গানটি তৎকালীন পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তার কণ্ঠস্বর ছিল মাধূর্যে ভরা। রাগ সঙ্গীতেও দখল ছিল তার। ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খাঁর কাছে তালিম নেন তিনি।
‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ চলচ্চিত্রে গান করে ২০০৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
বশির আহমেদে অনেক জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অনেক সাধের ময়না আমার’, ‘আমাকে পোড়াতে যদি এত লাগে ভালো’, ‘খুঁজে খুঁজে জনম গেল’, ‘আমার খাতার প্রতি পাতায়’, ‘আহা কী যে সুন্দর হারিয়েছে অন্তর’।