ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থা বেশ জটিল। শরীরে এখনো জ্বর। জ্বর বাড়ছে আবার কমছে। এ কারণে খাবার গ্রহণে তেমন কোনো রুচিও নেই। গত কয়েক দিন ধরে তিনি ঠিকমতো খাবার খেতে পারছেন না। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী ওষুধ দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমি দেখা করতে যাইনি। বয়সের কারণে আমাদের হাসপাতালে যেতে নিষেধ করছে। গতকাল আমার ভাইয়ের স্ত্রী দেখা করে এসেছে। চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী খালেদা জিয়া তার নিজ বাসার রান্না করা খাবারই খাচ্ছেন বলে জানান সেলিমা ইসলাম। তিনি বলেন, এমনিতে তিনি খুব কম খাবার খান। জ্বরের কারণে গত কিছুদিন খুবই যৎসামান্য খাবার খাচ্ছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, আমি গতকাল ম্যাডামকে দেখে এসেছি। তিনি অনেক রোগে আক্রান্ত। এজন্য গত দুই দিনে তার বেশ কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট হাতেও পেয়েছি। খালেদা জিয়ার বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিলে দেশে নয়, এখনই তার বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন। একসঙ্গে অনেকগুলো রোগের চিকিৎসার জন্য যে ধরনের আধুনিক মেডিক্যাল সেন্টার দরকার, আমাদের দেশে সেটা নেই।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য নতুন করে সরকারের কাছে আবেদন করা হবে কি না, জানতে চাইলে বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, আমরা তো দুইবার সরকারের কাছে আবেদন করেছি। একবার আমার ভাই (শামীম ইস্কান্দার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে দেখাও করে এসেছেন। তারপরও অনুমতি দেওয়া হয়নি। ১২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসার দেখভাল করছে।