DMCA.com Protection Status
title="৭

শত বছরের পুরনো সিআরপিসি আইন যুগোপযোগী করা হবেঃ আনিসুল হক।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শত বছরের পুরনো এবং যুগের সাথে চরম ভাবে অসামন্জস্যপুর্ন বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধি আইন (সিআরপিসি) যুগোপযোগী করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমলে প্রণীত এই আইনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন করা হবে। এ লক্ষ্যে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার মিডনাইট হাসিনা সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির কার্যপরিধি কি হবে সেটাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। কমিটিকে পর্যালোচনা সংক্রান্ত সুপারিশসহ প্রতিবেদন আইনমন্ত্রীর কাছে যত দ্রুত সম্ভব দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত উপর্যুক্ত ফৌজদারি কার্যবিধি দ্বারা বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিন প্রকৌশল ও ন্যানো প্রযুক্তির এই যুগে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মামলা পরিচালনা করা অত্যন্ত দুরূহ ও সময় সাপেক্ষ। এ কারণে ফৌজদারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং জনগণের আইনি অভিগম্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিআরপিসিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন এবং এতদ্বসংক্রান্ত সংস্কার ও গবেষণাপূর্বক এটাকে যুগোপযোগী, আধুনিকায়ন ও বাংলা ভাষায় প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

গত ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন এবং এতদ্বসংক্রান্ত সংস্কার ও গবেষণাপূর্বক উহা যুগোপযোগী, আধুনিকায়ন ও বাংলা ভাষায় প্রণয়নের জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে নির্দেশনা প্রদান করেন। ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরকে চেয়ারপার্সন এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে কো-চেয়ারপার্সন করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্মসচিব বিকাশ কুমার সাহা ও কাজী আরিফুজ্জামান, উপসচিব শেখ গোলাম মাহবুব, যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, উপসচিব গাজী কালিমুল্লাহ ও যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. মুনিরুজ্জামান।

কমিটির কার্যপরিধি হচ্ছে: ১. সিআরপিসির প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন এবং এতদ্বসংক্রান্ত সংস্কার ও গবেষণা এবং তা যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রদান। ২. ফৌজদারি কার্যবিধির বাংলা ভাষায় প্রণয়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান। ৩. ফৌজদারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বর্তমানে সিআরপিসি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রদান। ৪. ফৌজদারি কার্যবিধির এবং এ সংক্রান্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশের আইন পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রদান করা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!