ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের জেনে শুনে আশ্রয় দেওয়া এবং ফেরৎ না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর মানবাধিকার নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ ও ‘বঙ্গবন্ধু এন্ড জুডিসিয়ারি’ শীর্ষক বাংলা ও ইংরেজিতে মুজিব স্মারক গ্রস্থ এবং ‘ন্যায়কন্ঠ’ শীর্ষক মুজিববর্ষের স্মরণিকা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, এখনও কয়েকজন খুনি পালিয়ে আছেন, তাদেরকেও খোঁজা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব থেকে বড় কথা হচ্ছে যে, আমেরিকার মত দেশ সবসময় ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের কথা বলে, ভোটাধিকারের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু আমাদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল, আমরা যে ন্যায় বিচার পাইনি- তারপরে যখন বিচার হলো, সেই খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বসে আছে।’
তিনি সরকারে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রে যে কজন রাষ্ট্রপ্রধান ক্ষমতায় এসেছেন তাদের কাছে খুনিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কথা বলেছেন, অনুরোধ করেছেন উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমি বার বার বলেছি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আপনারা কিভাবে আশ্রয় দেন। আপনাদের জুডিসিয়ারি কীভাবে একজন খুনিকে আশ্রয় দেয়?’
১৫ আগস্ট যখন সেজো ফুফুর বাড়ি আক্রমণ করে সেখানে যে গ্রুপটা যায় সেটার কমান্ডিং অফিসার ছিল রাশেদ। সেই খুনি এখনও আমেরিকায়। তাকে কেউ ফেরত দিলো না। আমেরিকা গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে আর খুনিদের আশ্রয় দেয়। নূর যে ছিলো ৩২ নম্বরের হত্যাকাণ্ডের কমান্ডিং অফিসার। ফারুক ছিলো ট্যাংকের দায়িত্বে আর নূর ঢুকেছিলো। তাকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে কানাডা। তাদের কাছে আমাদের আইনের শাসনের সবক শুনতে হয়।
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের অধিকারের জন্য, বিচার বিভাগের উন্নয়নের জন্য বা দেশের মানুষের জন্য কি করেছি, সেটা আর আমি এত বেশি বলতে চাই না। তবে আমি এইটুকু বলবো যেহেতু আমার বাবা চাইতেন স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, আমরা সরকারে এসে সেই স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আমরা নিশ্চিত করেছি।