ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। এ বিষয়ে ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজখবর রাখছেন মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেলিনা হায়াত আইভীর বিষয়ে জানতে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানককে ফোন করেন। বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সভায় জাহাঙ্গীর কবীর নানক বিষয়টি জানান।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আইভীকে শেখ হাসিনার প্রার্থী বলে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, আমি যখন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে, তখন নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘আমার আইভীর কী খবর?’ সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই নির্বাচনের গুরুত্ব কতটুকু,এই নির্বাচন নিয়ে কারো মনে যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে নানক বলেন, আমরা এখানে এসেছি নেত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে। এ নির্বাচনটাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে একজনও ছাড় পাবেন না। কী হচ্ছে, তার সব খবরই কিন্তু নেত্রীর কাছে রয়েছে। সুতরাং এখনও সময় আছে, সব বাজে চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করুন।
তিনি আরও বলেন, আইভী একজন পরিচ্ছন্ন নেত্রী। সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছেই তার অসম্ভব গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সবাই তাকে ভালো জানেন। একমাত্র আপনারাই বলেন, ‘আইভী ভালো না’। এর পেছনে কী কারণ, তা কিন্তু নেত্রী জানেন। সুতরাং নিজেকে অপরিহার্য মনে করে এত অহংকার দেখাবেন না। মনে রাখবেন, অহংকার পতনের মূল।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ আর সাতজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রায় ৬০ নেতাকর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।