ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস জানিয়েছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের র্যাবের বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সদস্যের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে- তা তিনি দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন।
শনিবার হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে মিকসের এ বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
কূটনৈতিক সূত্রে ভাষ্য, র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া মিকসের বক্তব্যের বিষয়ে গণমাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই মিকস এ বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে মিকস মূলত তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
বিবৃতিতে মিকস উল্লেখ করেন, তিনি বিশ্বাস করেন নিষেধাজ্ঞা সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে তখনই, যখন তা লক্ষ্য অনুসারে হয়। এ নিষেধাজ্ঞা পুরো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নয় বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
বিবৃতিতে মিকস আরও বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং দেশের আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়- তা নিশ্চিত করাসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করার জন্য কাজ করার জন্য উন্মুখ।’
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমানসহ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে সরকারের অবস্থান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন ড. মোমেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ফোন করে এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে র্যাবের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। চিঠিতে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করতে আহ্বান জানিয়েছেন মোমেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে দেওয়া চিঠিতে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে র্যাবের ভূমিকাও তুলে ধরেছেন আবদুল মোমেন।