ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মালয়েশিয়ার কারাগার থেকে ‘নিঃশর্ত’ মুক্তি পেয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এবং জেল হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামি এবং নির্দোষ প্রমানিত মেজর(অবঃ) মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান।
এখন যত দ্রুত সম্ভব এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তার স্ত্রী এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা মশিহুর রহমান-যাদু মিয়ার কন্যা রীটা রহমানের কাছে যেতে চান। রীটা রহমানের বরাত দিয়ে তার মুক্তির খবর দিয়েছে অনলাইন ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে। খায়রুজ্জামানকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তার স্ত্রী জানিয়েছেন, খায়রুজ্জামানই তাকে কিছুক্ষণ আগে ফোন করেছিলেন এবং তার মুক্তির সুখবর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাকে রিসিভ করতে উপস্থিত হয়েছেন তার আইনজীবীরা। তারাই তাকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে’কে রীটা সাক্ষাতকারে বলেছেন, আল্লাহর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। যারা তার মুক্তিতে সাহায্য করেছেন, ধন্যবাদ জানাই তাদের সকলকে।
এ জন্য আমি মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানাই। অন্যদিকে মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানের আইনজীবী নগেউ চৌ ইন বলেছেন, তাকে মুক্তির সঙ্গে কোনো শর্ত দেয়া হয়নি। তিনি এখন একজন মুক্ত মানুষ। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় আমাদের অফিসকে তার মুক্তির বিষয়ে জানানো হয়েছে। আমাদেরকে বলা হয়েছে তাকে রিসিভ করতে।
৭০ বছর বয়স্ক খায়রুজ্জামান টেলিফোনে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে’কে বলেছেন, তাকে যখন মুক্তি দেয়ার খবর দেয়া হয়, তখন তিনি অভিভূত হয়ে পড়েন। এ জন্য আদালত, তার আইনজীবী এবং মালয়েশিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার মিথ্যা অভিযোগ আনার পর আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে আমি ভীষণ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায়। আমার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে তারা ছিলেন চরমভাবে উদ্বেগে।
তিনি আরও বলেন, বহু সরকারি রেকর্ড এবং পাবলিক ডোমেইনে ডকুমেন্ট আছে, যা থেকে দেখা যাবে- তিনি কোনো রকম ক্রিমিনাল কর্মকান্ডে জড়িত নন। তার ভাষায়- ঠিক এখন আমি যা করবো তা হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আমার স্ত্রীর কাছে যাবো। তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাই। মুক্তি পাওয়ার পরই আমি ফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছি। এ খবর শুনে সে আনন্দে আত্মহারা।