DMCA.com Protection Status
title="৭

মুজিবনগর সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ছিল : এইচ টি ইমাম

ht-0020140422185601প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ছিল এবং এর কর্তৃত্বও সুচারু ছিল। এ সরকারে চেইন অব কমান্ডও ছিল অত্যন্ত সুদৃঢ়।

মঙ্গলবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এইচ টি ইমাম। এইচ টি ইমাম বলেন, সুগঠিত মুজিবনগর সরকারে বৈদেশিক সমর্থন, সহযোগিতা ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল। যার ফলে এ সরকারের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির বিষয়ে ভারতের সহযোগিতায় সমগ্র বিশ্বের সমর্থন পাওয়ার জন্য ব্যাপক কার্যপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল।

তখনকার সরকারে সব মন্ত্রণালয়ই ছিল সক্রিয়। মুজিবনগর সরকারের সময়েই যুবশিবির গঠন করা হয় এবং এই যুবশিবির থেকেই মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়েছিল। যে মুক্তিবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমরণ লড়াই করেছিল। এইচ টি ইমাম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তখন সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এই অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের গণপরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা অনুমোদিত হয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ফলে গণপরিষদের বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ২৭ মার্চ মেজর জিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষেই স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। কাজেই মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেই কেবল রাষ্ট্রপতি হতে পারেন না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন- এটা প্রকাশ্য দিবালোকের মতো ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, এটি কেউ বিকৃত করতে পারে না; কেবল বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।

এই ইতিহাসের বিকৃতি রোধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পর্যায়ের সব স্তরে ১০০ নম্বরের ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ নামক কোর্সটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, সুদূর লন্ডনে বসে বাংলাদেশের ইতিহাস নতুনভাবে বিকৃত করার অপপ্রয়াস করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জনসাধারণ কখনো মেনে নেবে না। ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে অন্য বক্তারা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!