ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মিথ্যা অভিযোগের বানোয়াট মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতেই হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মিথ্যা মামলা করা হয়। মামলায় দেশনায়ক তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।
এই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা রহমান। যা গত ১৩ এপ্রিল খারিজ করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জোবায়দার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ওইদিন আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জোবায়দা রহমানের করা লিভ টু আপিল খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে এ মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ২০১৭ সালের দেওয়া হাইকোর্টের রায় আজকের আদেশে বহাল থাকল, তাহলে ধরে নেওয়া যায় নিম্ন আদালতে এ মামলার অভিযোগ আমলে নেওয়ার ৮ সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দা রহমানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।