DMCA.com Protection Status
title="৭

আমেরিকা থেকেও অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে আসে : জাহিদ মালেক

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ভালো উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের ১৭ কোটি লোককে এই বাংলাদেশে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোভিডকালীন সময়ে যখন কেউ বাইরে যেতে পারে নাই তখন এই ১৭ কোটি লোকের চিকিৎসা এই বাংলাদেশে হয়েছে। বাইরে কাউকে যেতে হয়নি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমেরিকা থেকেও অনেকে আমাদের এখানে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে। এমন অনেক রোগী আছে যারা ওখানে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে এখানে আসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। এখানে অনেক চিকিৎসা যেমন দাঁতের চিকিৎসা, পেটের চিকিৎসা সব বাংলাদেশে নেওয়ার জন্য আসে। আমেরিকা থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নির্দিষ্টকরণ বিলের স্বাস্থ্যখাতে আনা ছাটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপি এমপি রুমিন ফারহানার কথার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক লোকের কথা বলছেন। কিছু লোক যদি বাইরে যায় তাদের তো আমরা এখানে ধরে রাখতে পারবো না। যত ভালো সেবাই হোক এখানে সেবা নেবে না তারা। তারা আমেরিকায় যাবে, ইউরোপে যাবে, সিঙ্গাপুর যাবে। এটা স্বাভাবিক। তবে আমেরিকা থেকেও অনেক রোগী ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাংলাদেশে আসে।’

দেশে করোনা অতিমারি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা নিজেদের অর্থায়নে ভ্যাকসিন দিয়েছি প্রায় ১৭ হাজার কোটি ডোজ। সব মিলে এ ভ্যাকসিন দিতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা লেগেছে। এটা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে। আর বিদেশ থেকে আমরা ১০ কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পেয়েছি। তার দাম প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়েছে। এটাও দেশের অর্জন, প্রধানমন্ত্রীর অর্জন। কোনো দেশ ১০ কোটি ভ্যাকসিন পায় নাই, যেটা বাংলাদেশ পেয়েছে।’

তিনি জানান, ‌আমরা শিশু ভ্যাকসিনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। ৫ বছর থেকে ১২ বছর শিশুদের ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়েছে। ডব্লিউএইচও থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং সেটা শিশুদের দেওয়ার ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। জুলাইয়ের শেষের দিকে শিশুদের ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবো। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে সকল হাসপাতাল ক্লিনিকের সঠিক মান নেই, সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা তিন হাজার বন্ধ করেছি, প্রয়োজন হলে আরও বেশি বন্ধ করে দেব, যদি মানসম্পন্ন না হয়। যারা ভুয়া মেডিসিন তৈরি করছিল এ ধরনের ২০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!