ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ হাসিনা সরকার গুলি করবে আর আমরা বসে বসে চীনা বাদাম খাব-এটা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকারের যদি নির্দেশ না থাকত ইতোমধ্যে ভোলার এসপি সাসপেন্ড হতো। যারা গুলি করছে তারা ডিপার্টমেন্টে ক্লোজড হতো। কিন্তু হয়নি। তাই বুঝতে হবে এটা সরকারের নির্দেশ। অর্থাৎ আগুন লাগাবে। আর বিভিন্ন প্রোগ্রামে গুলি করে আমাদেরকে সাজা দেবে, মেরে ফেলবে, আর আমরা বসে বসে বিস্কুট হাতে নিয়ে চীনা বাদাম খাব আর চুড়ি পড়ব। এটা কোনোমতেই হয় না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, আন্দোলন করতে দলের যত সংগঠন আছে, যে যেখানে আছে সবাইকে একত্রিত করে মাঠে নামতে হবে। আবদুর রহিম (ভোলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা) স্বেচ্ছাসেবক দলের জন্য জীবন দেয়নি, রহিম জীবন দিয়েছে দলের জন্য, রহিম জীবন দিয়েছে দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে। আমি বলব, এই আত্মত্যাগ থেকে আপনারা শিক্ষা নিয়ে যে ধরনের প্রোগ্রাম দেওয়া দরকার সেই ধরনের প্রোগ্রাম দিয়ে জবাব দিতে হবে।
দেশের মানুষের মিছিল করার অধিকার সাংবিধানিক অধিকার-একে বাধা দেওয়ার অধিকার পুলিশের নেই উল্লেখ করে যারা ভোলায় সমাবেশে গুলি করেছে একদিন তাদেরকে জনগণের আদালতে দাঁড়াতে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, রহিমের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গতকাল থেকে শোকের মাস শুরু। এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশের শত্রুকে জবাব দেওয়ার জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আঘাত করলে পাল্টা আঘাত করতে হবে।
সীমান্তে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, বর্ডারে প্রায়ই লোক মারা যায় আমাদের। ওখানে কিন্তু একটা গুলিও চলে না। আর বিদেশ থেকে এই গুলি কেনা হয় আমাদের জনগণের টাকায়। জনগণের রক্ষায় গুলি চলে না।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম সারওয়ার, ইয়াসীন আলীসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।