DMCA.com Protection Status
title="৭

২০১৮ সালে ড. কামালকে ইমাম মেনে সব ধূলিসাৎ হয়ে গেছেঃড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ২০১৮ সালে গণফোরামের প্রধান ড. কামাল হোসেন  নির্বাচনে না আসায় বিএনপির ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা সব ধূলিসাৎ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

তিনি বলেন, ‘বিএনপির মতো একটি জনপ্রিয় দল, সেই দল থেকে গিয়ে ড. কামাল হোসেনকে আমাদের ইমাম বানিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার পর তিনি বললেন নির্বাচনই করবেন না। এই যে নির্বাচন করবেন না, সেখানে এই ফ্রন্টে আমরা এত কষ্ট করে যে রূপরেখা তৈরি করেছিলাম, ওই রূপরেখা, আমাদের সব ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা সেদিন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মতো একটি দলকে এই ফ্যাসিবাদ সরকার ৫ না, ৬টা আসন দিয়ে বিদায় করে দেয়।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বুধবার ‘সরকার ইভিএমে নির্বাচন করতে চায় কেন?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোশাররফ এসব কথা বলেন। 

সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম। সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় এ সময় আলোচনায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ-সদস্য হারুন-অর-রশিদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, আনোয়ার হোসেন বুলু প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি এখন সব দলের সঙ্গে যাচাইপূর্বক কথা বলে এমন কিছু করতে চায়, যাতে বাংলাদেশের জন্য আবার সে রকম বিপর্যয় না আসে। সরকারবিরোধী অন্য দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। তাদের মতামত নিয়ে আমরা এটা সমৃদ্ধ করতে চাই। সেজন্য এখনও সেই রূপরেখা জনগণের সামনে আসেনি। আজকেও আমাদের মহাসচিব একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এ আলোচনা শেষে অবশ্যই আমরা দেশে একটা মঞ্চ করতে পারব, নাকি আমরা যুগপৎ আন্দোলন করতে পারব, এটার একটা সিদ্ধান্ত হবে।  একটা রূপরেখা সবার মতামতে তৈরি হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই সরকার আগামী ২৩ সালের নির্বাচন করে যেতে পারবে না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ঐক্য দরকার, কিন্তু সেটা হতে যদি দেরি হয়, তাহলে বিএনপি তাদের মতো এগিয়ে যাবে। সিদ্ধান্ত নিয়ে সেখানে যেন কোনো ভুল না হয়। বিএনপি পরাজিত হোক তা আমি চাই না। কারণ, আমি মনে করি, বিএনপির পরাজয় মানেই আমার পরাজয়। কিন্তু বিএনপির জয় মানেই যে আমার জয় এমনও নয়। আপনারা যখন কথা বলেন তখন আমি শুনি। কারণ আপনাদের সঙ্গে লাগবে। কিন্তু আপনাদের বক্তব্য পুরোটা আমার নয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশটাকে বদলানোর লড়াই করতে চাই। এমন কর্মসূচি ঘোষণা করা উচিত, যেটা পালন করা সম্ভব হবে। রাজপথ দখলের ঘোষণা মানে সরকার অচল করে দেওয়া, সরকারকে ফেলে দেওয়ার আন্দোলন। আমি মনে করি, যারা এ সমাজ বদলাতে চান, গণতন্ত্র চান- তারা সবাই এই আন্দোলনের সঙ্গে থাকবেন।’

হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘যদি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন কমিশনের দাওয়াত দেওয়া হয়, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকেন, আমি দায়ীত্ব নিয়ে বলছি- ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। সুতরাং, আমাদের নির্বাচন কমিশন নিয়েও কোনো আলোচনা নেই। ইভিএম নিয়েও আলোচনা করতে চাই না। ভোট ব্যবস্থাকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়েছেন। এটাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা আনতেই হবে।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!