DMCA.com Protection Status
title="৭

হাসপাতালে ভর্তি মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাস

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

তিনি বলেন, কারাগারে থাকাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে শায়রুল কবির বলেন, কতদিন হাসপাতালে থাকবেন সেটি তো আমরা বলতে পারব না। উনার চিকিৎসকরা বলতে পারবেন।

এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

রোববার দুপুরে বিএনপির এই নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে।বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, সদ্য কারামুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস রাজধানীর এভায়কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শামসুদ্দিন দিদার আরও বলেন, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মির্জা আব্বাসের হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে যায়। পাশাপাশি কাশি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। একইসঙ্গে তার (মির্জা আব্বাস) মূত্রজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
মির্জা আব্বাস বর্তমানে হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর রাতের বেলা বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পর দিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে বিএনপির দুই হাজার ৯৭৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। দুজনকে প্রথমে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পর দিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এক মাস বন্দি থাকার পর গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!