ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার তাগিদ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেন। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ তাগিদ দেন। এ ছাড়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ব্লিনকেন নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন। এ ছাড়া আলোচনার একটি সারবস্তু ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকেও সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো হয়। বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। ব্লিনকেন টুইটে বলেন, আমরা যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে গভীর করতে চাইছি, তখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার, মিডিয়া এবং নাগরিক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোমেন-ব্লিনকেনের বৈঠক নিয়ে ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২১০ কোটি ডলার মানবিক সহায়তার কথা জোর দিয়ে তুলে ধরেন তিনি। এর মধ্যে আছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচিতে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের সহায়তা।
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারো আমাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এই প্রতিশ্রুতির মধ্যে আছে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবিক ও শ্রম অধিকার এবং অবাধ মত প্রকাশ করা অনুমোদন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মিডিয়া এবং নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। যেহেতু আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করতে চাই, তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাক্সক্ষা পুনর্ব্যক্ত করে ব্লিনকেন বলেন, বিশ্ব আগামী নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। অবশ্য আমরাও তাকিয়ে আছি, যাতে বাংলাদেশ এই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শক্তিশালী উদাহরণ তৈরি করতে পারে। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যে এ নিয়ে কিছু না বললেও হোটেলে ফিরে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য তথা ‘মডেল’ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয়ার কথা জানান।
ওয়াশিংটন সময় দুপুর দেড়টায় মোমেন-ব্লিনকেন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মিশনের তথ্য অনুযায়ী আধ ঘণ্টার কম সময় স্থায়ী ছিল দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কয়েক মিনিটের সূচনা বক্তব্যের রেকর্ডটি এরইমধ্যে প্রচার করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। প্রচারিত ভিডিওতে শোনা যায়, সূচনা বক্তৃতায় ব্লিনকেন বলছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অবশ্যই অবাধ এবং সুষ্ঠু হতে হবে। শুধু বাংলাদেশ নয় বরং আন্তর্জাতিকভাবেও নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য হওয়ার তাগিদ দিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের শুরুতেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয়পর্যায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দৃঢ় করার গুরুত্বের পাশাপাশি উঠে আসে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গও।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণকে সাধুবাদ জানিয়ে ব্লিনকেন বলেন, বাংলাদেশ ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের উদারতার সঙ্গে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে জোর দেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে সূচনা বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। এতে দুই দেশের সম্পর্কের ভিত অত্যন্ত মজবুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বহুমাত্রিক এবং গতিশীল, যা বিগত ৫০ বছরে ধাপে ধাপে বিকশিত হয়েছে। মন্ত্রী মোমেন বলেন, আমরা চাই সামনের ৫০ বছর এবং তারপরেও যেন এটি আরও আরও বৃদ্ধি পায়। গত স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন। সেই চিঠি দু’টির অংশবিশেষ বৈঠকে তুলে ধরেন মোমেন। বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির সমাপনীতে মুক্তিযুদ্ধের সর্বজনীন সেøাগান ‘জয় বাংলা’ উল্লেখ থাকার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেন মোমেন। সেইসঙ্গে বাইডেনের চিঠির জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি চিঠি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দিয়েছেন জানিয়ে মোমেন বলেন, বৈঠক শেষে আমি তা আপনার কাছে হস্তান্তর করবো। ব্লিনকেনের চিঠিতে বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে প্রশংসাসম্বলিত যেসব কথা বলা হয়েছে তার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে মোমেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন যা বললেন: এদিকে বৈঠক শেষে হোটেলে ফিরে স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রী মোমেন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য তথা মডেল বা আদর্শ নির্বাচন দেখতে চায়। জবাবে আমি বলেছি, আমরাও তাই চাই। তিনি বলেন, আমি বলেছি গণতন্ত্র আমাদের রক্তে মিশে আছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে মানুষ রক্ত দিয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়ে মোমেন স্বাধীন নির্বাচন কমিশন এবং স্বচ্ছভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গৃহীত সরকারি পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরেন। বলেন, আমি বলেছি, বাংলাদেশ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানায় কিন্তু বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনো পক্ষপাতিত্বমূলক পর্যবেক্ষককে নয়। মন্ত্রী মোমেন বলেন, আমি বলেছি- একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দলকেও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করছি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও শ্রমিকদের অধিকার সমুন্নত রাখা এবং সন্ত্রাসবাদ দূর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান মোমেন। বলেন, তিনি মার্কিন মন্ত্রীকে খোলাসা করেই বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। সেই সঙ্গে সরকার ও দল আশা করে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সাহায্য-সহায়তাসহ নানাভাবে তারা খুশি রাখতে পেরেছেন। ফলে আগামী নির্বাচনে সব দল এলেও তারা বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন। মন্ত্রী বলেন, এজন্য আমার সরকার সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য তথা মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের সেদেশে ফেরত পাঠানো, মার্কিন বিভিন্ন উন্নয়ন-সহায়তা তহবিল থেকে বাংলাদেশে উন্নয়ন-সহায়তা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছি। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানসহ ব্রিফিং এবং বৈঠকে বাংলাদেশের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেড় মাস আগে ঢাকা সফর করে যাওয়া মার্কিন কাউন্সেলর ডেরেক শেলেসহ স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেক্রেটারি অব স্টেটের সঙ্গে ছিলেন।
ওদিকে ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে সেগুনবাগিচার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে- মিডিয়ার উপস্থিতিতে তাদের প্রাথমিক বক্তব্যে উভয় নেতা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিগত ৫০ বছরের দৃঢ় সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে আগামী ৫০ বছরের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ককে বিস্তৃত, গতিশীল ও বহুমুখী উল্লেখ করে ড. মোমেন এই সম্পর্ককে আরও উন্নত, বর্ধিত ও সুদৃঢ় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ‘জয় বাংলা’ দিয়ে শেষ হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পাঠানো বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে তারা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার ও বহুমুখীকরণ, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং নির্বাচনসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে শ্রম খাত সংস্কারের চলমান এবং সম্পন্ন কাজ সম্পর্কে মি. ব্লিঙ্কেনকে অবহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাগুলোকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
মি. ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশে শ্রম পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দুই দেশের মধ্যে চলমান যৌথ কর্মকাণ্ডের অগ্রগতির প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সদ্ব্যবহার করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান। ড. মোমেন মার্কিন সরকারকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় উদার সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উদারভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা আব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্বের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঐকমত্য প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পূনরায় অনুরোধ জানান। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রেরিত উষ্ণ বার্তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, দূতালয় উপ-প্রধান মিস ফেরদৌসী শাহরিয়ার, মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাউন্সেলর ডেরেক শোলে, জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট মিস জুলিয়েটা ভালস নয়েস, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং শ্রম বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট মিস কারা ম্যাকডোনাল্ড, দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট মিস আফরিন, মিস্টার ব্লিঙ্কেন এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।