ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের গণতন্ত্র অবরুদ্ধ বলে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ‘দ্য ডিপ্লোমেট’। শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী দল ও মুক্ত সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে দমনপীড়নের নজিরবিহীন ট্র্যাক রেকর্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে নানা তৎপরতা চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জনগণের জন্য একটি আধুনিক, প্রগতিশীল ও মুক্ত গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। কিন্তু তা না করে ক্ষমতাসীন সরকার গত ১৪ বছরে ব্যাপক দুর্নীতি ও ভিন্নমত দমনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ওপর তার দখলকে সুসংহত করার পথ বেছে নিয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে বিজয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সে নির্বাচনকে ঘিরে সরকার একটি দীর্ঘ প্রতিশ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দর কষাকষিতে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি, ওলিগার্কদের পক্ষে (ওলিগার্ক : ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ধনী ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বা ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে বেড়ে উঠা অতি ধনী শ্রেণি) ঝুঁকে পড়া নীতি ও ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার ফলে এমনটি আশা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের জিডিপি ছিল মাত্র ৬.২ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪১৬.৩ বিলিয়ন ডলার। সেই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি বর্তমান আকারের দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২২ সালের হিসাবে বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে ৭২.৪ বছর, উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে শিশুমৃত্যুর হার। শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েদের ও মহিলাদের অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে।