ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেয়া সাজা স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত সংক্ষিপ্ত রায়ে বলেছে, পিটিআই প্রধানকে জামিনে মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালত আরও জানায়, সাজা স্থগিত করার বিস্তারিত কারণ পরে জানানো হবে। এই রায়কে ইমরান খানের জন্য বড় আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে করাচিভিত্তিক গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, তোশাখানা মামলায় মুক্তি পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না ইমরান। কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের মামলায় তাঁকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এর আগে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয় ইমরান খানের। পাশাপাশি তিনি পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হন। ফলে বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ শেষ হয়ে যায় তার। ইমরান খান ওই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। অবশেষে এই এক মামলা থেকে রেহাই পেলেন তিনি।
কিন্তু এদিকে তারবার্তা ফাঁসের মামলায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের (ওএসএ) অধীনে ইমরান খানসহ আসামিদের বিশেষ আদালতে বিচার চলছে।
বর্তমানে পাঞ্জাবের ‘অ্যাটক’ কারাগারে বন্দী আছেন ইমরান। তারবার্তা ফাঁসের মামলায় আগামীকাল বুধবার ইমরানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জেল সুপারকে লেখা এক চিঠিতে বিচারক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ জুলকারনাইন বলেছেন, অভিযুক্ত ইমরান খানকে ওপরে উল্লিখিত এফআইআরের (ওএসএ) অধীনে বিচার বিভাগীয় রিমান্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই কারাগারে আটক রয়েছেন।
এদিকে ইমরান খানের আইনজীবীদের মধ্যে নেতৃত্বে থাকা নাঈম হায়দার পানজুথা অভিযোগ করেছেন, তারবার্তা ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি ইমরান খান কিংবা তাঁর আইনজীবী কাউকে জানানো হয়নি। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে কোনো মামলায় আটক করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বিষয়টি জানাতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে তুলতে হবে।