ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা জেলার ৬টি আসনে ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্র ও ৪ হাজার ৭২০টি ভোট কক্ষ থাকবে। ৬টি আসনে এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮০টি।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, কোস্ট গার্ড, পুলিশ ও আনসার বাহিনী মোতায়েন করেছে। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম থাকায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোই সরকারি দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে না পেরে ভিন্ন কৌশল নিয়েছেন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা।
তারা ওএমএস, টিসিবি, বয়স্ক ও বিধবা ভাতাসহ সরকারের বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এছাড়া নৌকায় ভোট না দিলে কার্ড বাতিল ও মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদান করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরজমিন খুলনা-৪ আসনের রূপসার আইচগাতী এলাকার হতদরিদ্র রমিছা বেগম বলেন, আমি বিধাব মানুষ আমাকে নৌকা মার্কার লোকজন বলে গেছে ভোট দিতে না গেলে কার্ড বাতিল করে দেবে। এখন মরি-বাঁচি ভোট দিতে তো যেতেই হবে। একইভাবে নৌকার মাঝি মজিদ মিয়া বলেন, ভোটকেন্দ্রে না গেলে সব সাহায্য-সহযোগিতা বন্ধ করে দেবে।
এমনকি এলাকায় থাকা যাবে না বলে তারা জানিয়ে দিযেছে। খুলনা-৩ আসনের খালিশপুর বাস্তুহারা এলাকার দিনমজুর খালেক মিয়া বলেন, ভোটকেন্দ্রে না যেয়ে উপায় নাই। এলাকায় থাকতে হলে ভোট দিতে যেতে হবে তারা বলে গেছে। অবশ্য খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা দাবি করেন, সরকারের সুবিধাভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসবেন। এদিকে গত ১৮ই ডিসেম্বর প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর গতকাল পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট ১৪টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৭টি অভিযোগ অনুসন্ধান কমিটি এবং ৭টি অভিযোগ পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ৫ই জানুয়ারি ২ জনকে জেল এবং ২৮ জনকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসিন আরেফীন জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।