ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা ‘ডামি’ ভাইয়ে ভাইয়ে যে নির্বাচন করেছে, সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোও এই নির্বাচন গ্রহণ করেনি। তাই এই নির্বাচন জনগণ মানে না। সরকারকে বলি, এখনো সময় আছে এই অবৈধ সংসদ বাতিল করুন, নিজেরা পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করুন। এ সময় আসন্ন রমজানের আগে দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতি রোধে সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে ৩০ জানুয়ারির কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না বলে ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি বারবারই একই কথা বলেন- খেলা হবে, রাজনৈতিক খেলা হবে।
সাবেক বিরোধী দলের প্রধান হুইপ ফারুক বলেন, আরে ভাই, খেলতে হলে খেলোয়াড় লাগে। আপনারা তো খেলোয়াড় না। আপনাদের সঙ্গে কি খেলব? আপনি আমাদের লেজের সঙ্গে লেগেই আছেন। বিএনপি গতকাল বিকেল ৩টায় প্রোগ্রাম দিয়েছে কালো পতাকা মিছিলের। আওয়ামী লীগ তারপরে বিকেল ৪টায় প্রোগ্রাম দিয়েছে।
ফারুক বলেন, আমরা বলে দিতে চাই, আমাদের লেজে লেজে থেকে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল প্রতিরোধ করতে আপনারা পারবেন না। বাংলাদেশের মানুষ এই নির্বাচনকে (৭ জানুয়ারি) প্রত্যাখান করেছে। তাই ৩০ জানুয়ারি জনগণ কালো পতাকা দেখিয়ে আবারও আপনাদের প্রতি ধিক্কার জানাবে।
গতকাল শনিবার নয়াপল্টনের কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সমাবেশ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আগামী ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন ঢাকাসহ সারা দেশের সব সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানায় এবং সব পৌরসভায় কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হকের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব কাজী মো. সেলিম রেজার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে ওলামা দলের আলমগীর হোসাইন, কাজী মো. আবুল হোসেন, আলমগীর হোসাইন খলিলী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তাজুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।