গুম, খুনের সঙ্গে প্রত্যোক্ষ ভাবে জড়িয়ে পড়ায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র্যাব) কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অথচ তার সরকারে আমলেই গঠন করা হয়েছিলো এ বিশেষ বাহিনীটি।
রাজধানীর শাহীনবাগে ঢাকা মহানগর বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নিখোঁজ সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় গিয়ে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় নিখোঁজ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরো সাত নেতার পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া এ সময় তাদের সমবেদনা ও সান্ত্বনা জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে শুরুতে র্যাবের ব্যপক সফলতা ছিল। জনগণের কাছে তারা প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এ বাহিনীর সদস্যরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাদেরকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে মানুষের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে এ বাহিনী ব্যর্থ।’
তিনি বলেন, ‘র্যাব এখন সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্ক। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা না দিয়ে তারা গুম, খুনে জড়িয়ে পড়ছে।
এসময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, সদস্যসচিব আবদুস সালাম, সহদপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ এর সফলতার অজুহাতে গঠন করা হয় র্যাপিড অ্যাকশন টিম (র্যাট)। পরে পূর্ণাঙ্গ বাহিনী হিসেবে যাত্রা শুরু করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বাংলাদেশের আভ্যন্তরিক সন্ত্রাস দমনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত হয়। আর এর কার্যক্রম শুরু হয় একই বছরের ১৪ এপ্রিল।
ওই বছর ২১ জুন রাজধানীর উত্তরায় শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানকে ধরার অভিযান দিয়ে পূর্ণাঙ্গ অপারেশন কার্যক্রম শুরু করে তারা। ওই অভিযানে ক্রসফায়ারে নিহত হয় পিচ্চি হান্নান। বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় চৌকস এ বাহিনীটি।এলিট এই বাহিনী সৃষ্টির প্রথম কয়েক বছরে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল,কিন্তু ক্রমে তারা বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে ১/১১ পরবর্তি সময়ে তাদের কর্মকান্ড বহু নিন্দা কুড়িয়েছে।