ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সরকারবিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের সময় পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে মোহাম্মদপুরের একটি বহুতল ভবন থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হওয়া সাবেক যুবদল নেতা ও আদাবর থানার ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদের পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার গুলশানের দলটির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে নিহত আব্দুর রশিদের দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচসহ পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক গ্রহণ করেন। নিহত আব্দুর রশিদের এক মেয়ে স্থানীয় একটি তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত আছেন, আরেক মেয়ের বয়স তিন।
এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, আব্দুর রশিদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অসংখ্য গণতন্ত্রকামী জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও জনগণ রাজপথ ছাড়েনি। রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে সরকার জনমতকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু জনতার বিজয় হবেই।
আমিনুল হক বলেন, আজকে যারা বেঁচে আছে তারাও বন্দীশালার মাঝে জীবনযাপন করছে। সারা দেশকে সরকার বদ্ধ কারাগারে পরিণত করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে যেমন পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানিদের সবকিছু শুষে নিয়েছিল, তেমনি বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় অর্থ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করছে। দেশের জনগণ অর্থের অভাবে ঠিকমত খেতে পারছে না, অথচ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছেন। সবকিছুর একদিন হিসেব দিতে হবে। এবং সকল গুম-খুন এবং লুটপাটের বিচার এদেশেই হবে।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, মহানগর নেতা আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিনুল ইসলাম তুহিন হাজী মোহাম্মদ ইউসুফ, মাহফুজ চেয়ারম্যান, এল রহমান, এবিএম আব্দুর রাজ্জাক, আজহারুল ইসলাম সেলিম, মোজাম্মেল হক সেলিম, হাফিজুল ইসলাম শুভ্র, মাহবুবুল হক মন্টু, আহসান উল্লাহ চৌধুরী হাসান, মো. হানিফ, জিয়াউর রহমান জিয়াসহ মহানগরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।