ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, ইফতার পার্টি নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকার মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করছে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। দেশে ৯০ ভাগের বেশি মুসলমান। সুতরাং, আমরা দেখে আসছি, রমজান মাসজুড়ে সাধারণত সারা দেশের সব স্কুল কলেজ কিংবা মাদ্রাসাসহ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকত। অথচ, এবার ব্যতিক্রম। সরকার রমজানের অর্ধেক মাস দেশের সব স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের প্রতি মুসলমানের কাছেই রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। পবিত্র রমজান মাসে মানুষ একটু শান্তি এবং স্বস্তিকর পরিবেশে রোজা রাখবে, সেহরি করবে, ইফতার করবে, ইবাদত বন্দেগি করবে, প্রত্যেকটি মানুষেরই এমন আশা আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু গণবিরোধী অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা গভীর হতাশায় নিমজ্জিত থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। যারা দেড় দশক ধরে বিনা ভোটের ডামি সরকার হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তাদের প্রথম এবং প্রধান শত্রু হচ্ছে গণতন্ত্রকামী জনগণ।’
রিজভী বলেন, ‘সারা বিশ্বে দাম কমলেও বাংলাদেশে প্রতিদিন কেবল বাড়াচ্ছে জনগণের ‘পকেট কাটা সরকার’। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়া-কমার সঙ্গে বিশ্ব পরিস্থিতির সম্পর্ক নেই। দেশে জিনিসপত্র দাম বাড়া-কমার সঙ্গে সম্পর্ক আওয়ামীদের সঙ্গে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুস সালাম, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।