ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ইউকে। এ বিষয়ে তদন্তে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে যুক্তরাজ্য ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ইউকে।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে টিআই ইউকের প্রধান নির্বাহী ড্যানিয়েল ব্রুস বলেন, যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের বিষয়ে প্রয়োজনে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিকে তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। সুষ্ঠু তদন্তে ব্যর্থ হলে ‘অবৈধ বা ব্যাখ্যাতীত সম্পদের তহবিল গড়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য একটি নিরাপদ স্থান’ এমন ভুল বার্তা যাবে। এ কারণে একজন বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যে কীভাবে এত সম্পদ অর্জন করেছেন, তা স্পষ্ট হওয়া জরুরি।
তবে খবর প্রকাশ হওয়ার পর সাইফুজ্জামানের ইতিবাচক মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
ড্যানিয়েল ব্রুস বলেন, পূর্ণ ও ন্যায্য তদন্তের ক্ষেত্রে সাইফুজ্জামান নিজেই সহায়তা করার ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। এটাকে স্বাগত জানাই। তবে তদন্ত হতে হবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত। এ ছাড়া পর্যাপ্ত অর্থ, বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা ও আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জরুরি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্লুমবার্গ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। যুক্তরাজ্যে কোম্পানি হাউসের করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়।
পরে ২ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী। তবে তিনি দাবি করেন, বিদেশে সম্পদ করার ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি। তাঁর বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেছেন। তাছাড়া তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেছেন। এর পর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন।
নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশে সম্পদ থাকার কথা গোপন করার বিষয়ে সাইফুজ্জামান বলেছিলেন, হলফনামা পুরোপুরি বাংলাদেশের আয়কর রিটার্নের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এতে বিদেশে সম্পদের তথ্য দেওয়ার আলাদা কোনো ছক নেই। বাড়তি তথ্য কেন দিতে যাবেন।