ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তারা। তা নাহলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও ২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদ হত্যার পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ।
তবে গত বছর বুয়েট শিক্ষার্থীদের পদ দিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হলে বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা তৈরি হয়। তখন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পুরোনো বিজ্ঞপ্তিটি আবার ওয়েবসাইটে প্রচার করা হয়।
গতকালের ঘটনার প্রেক্ষিতে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। ছাত্রলীগের সভা আয়োজনে জড়িতদের বহিষ্কারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ঘটনার জন্য ব্যাখ্যা চেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যথাযথভাবে পূরণ না হলে ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) অপসারণের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১. ঘটনার দিন রাতে যারা প্রটোকল দিচ্ছিল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঢোকার পথ সুগম করে দিচ্ছিল, তাদের হল বহিষ্কার চাই।
২. বুয়েট প্রশাসন কেন ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের মিটিং করার জন্য রাত ৩টায় পারমিশন দিল, তার সুস্পষ্ট ব্যখ্যা চাই।
৩. যদি তারা পারমিশন না দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বুয়েট কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেবে- এটার সুস্পষ্ট জবাব চাই।
৪. আগামীকাল দুপুর ২টার মধ্যে সব দাবি যথাযথভাবে পূরণ না হলে ডিএসডব্লিউ অপসারণের জন্য আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো এবং সকল দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বয়কট করব।