ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ একটি বার্তা দিয়েছে। সেটা হলো তোমরা এক হও, ঐক্যবদ্ধ হও। ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হও। দেশকে রক্ষা করো। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি।’
তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের ভিন্ন মত থাকতে পারে। মতপার্থক্য থাকতে পারে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এক হই। দেশকে রক্ষা করি।
আজ শনিবার কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর বাইরে কোনো পথ খোলা নেই। যে কোনো মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। এটা প্রমাণ করার কিছু নেই। আজকে দেশের পাশাপাশি বিশ্ববাসী জানে সেদিন ভোট কেন্দ্রে মানুষ যায়নি। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছে। কী দায়িত্ব দিয়েছে? ভোট ডাকাত ও কৃতদাস সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন দলের বিভিন্ন মত, বিভিন্ন বিশ্বাস থাকতে পারে। কিন্তু একটা বিশ্বাসের জায়গায় এক হতে হবে। সেই বিশ্বাস হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থাকলে আমরা থাকবো আর বাংলাদেশ না থাকলে আমরা কেউ থাকবো না। এই বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশে মালিক, আর কেউ নয়।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যে আজ কতোটা নির্যাতিত এটি তার চিত্র। বিগত দিনে আন্দোলন করতে গিয়ে কেউ শহীদ হয়েছেন, কেউ কারাবন্দী হয়েছে। কেন হয়েছেন ? তারা নির্যাতিত হয়েছেন মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে। আজকে মানুষের ভোটাধিকার, মানবাধিকারসহ সাংবিধানিক সব অধিকার ডাকাতি করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ডাকাতি করা হয়েছে।’
লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে একজন বাংলাদেশির মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের এক ভাইকে সীমান্তে হত্যা করা হয়েছে। আমরা স্বাধীনতার উপহার পেয়েছি। আজকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কতটা হুমকির মুখে তা এই ঘটনায় ফুটে উঠছে। কিন্তু সরকার প্রতিবাদ করে না।’