DMCA.com Protection Status
title="৭

মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সব নেতা পালিয়ে ছিলেন: তারেক রহমান

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। স্বাধীনতার মাসে তারা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের দলের প্রায় সব নেতা পালিয়ে গিয়েছিলেন।

আজ রবিবার প্রবাসে অবস্থানরত সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ বলছে স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছিল। জিয়াউর রহমান শুধু পাঠ করেছেন। ঘোষণা যদি তাদেরই হয়ে থাকে তাহলে কেনো তারা পাঠ করলো না। শেখ মুজিবের বাড়ি ৩২ নম্বরে। তখন শাহবাগের তৎকালীন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে শতাধিক বিদেশি সাংবাদিক ছিলেন। সে সময় শেখ মুজিব ৩২ নম্বরেই ছিলেন। তখন ইপিআরের ওয়্যারলেস তো বাঙ্গালিদের দখলে ছিল না। ছিল পাকিস্তানিদের দখলে। শেখ মুজিব কেন সাংবাদিকদের কাছে না পাঠিয়ে জিয়াউর রহমানে কাছে পাঠালেন। তিনি নিজেই তো শাহবাগে গিয়ে সাংবাদিকদের জানাতে পারতেন, কিংবা লোক মারফত তার নির্দেশনা পাঠাতে পারতেন।

তারেক রহমান বলেন, আজকে কেন তাদের মিথ্যার আশ্রয় নিতে হচ্ছে। কেন করছে তা একদম পরিষ্কার। কারণ তাদের কোনো পরিকল্পনাই ছিল না।

তিনি বলেন, ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৯১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দৈনিক বাংলায় একটি লেখায় লিখেছিলেন তিনি ও তার স্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছিলেন। শুধু ড. ওয়াজেদ একাই নন তার মতো অনেকেই শুনেছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা এবং লিখেছেন তা। কেউ তো কোথাও লেখেননি যে তাদের কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর সারা দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। শেখ মুজিব ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকলে ৮ মার্চ থেকে কেন যুদ্ধ শুরু হলো না। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা ১৯ মার্চ থেকে পাকিস্তানিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!