ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চাকরির আয় দিয়ে এতো সম্পদের মালিক হওয়া একেবারে অসম্ভব বলে মনে করেন পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ।
প্রথম বাংলাদেশকে তিনি বলেন, "বেনজির আহমেদ অনেক বছর চাকরি করেছে। কিন্তু এখানে সম্পদের যে বিবরণ দেখেছি তাতে যে কোনও মানুষ দেখলেই মনে হবে- চাকরি করে একজন মানুষ কিভাবে এতো টাকার মালিক হয়? এখানে অন্য কিছু আছে।"
"দুর্নীতির বিষয়টি থাকতে পারে। তার যে বেতন সেটা দিয়ে এতো সম্পতি কিভাবে? এটা তো আপনার থাকা-খাওয়ায় চলে যায়। বেতন দিয়ে এই সম্পদ করা একেবারেই অসম্ভব। সেইক্ষেত্রে বাবা কিংবা শশুরের সম্পত্তি থাকা লাগবে"- উল্লেখ করেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান।
তিনি বলেন, "১ লাখ টাকা বেতন পেলে ঢাকা শহরে চলতে-ফিরতে সমস্যা হয়ে যায় যদি আয়ের অন্য কোনও পন্থা না থাকে। আমি তো ৩০-৩২ বছর চাকরি করেছি। অবসরে যাওয়ার পর ১ থেকে দেড় কোটি টাকা পাওয়া যায়, সেটাও থাকে না। এটা দিয়ে এতো কিছু করা সম্ভব না।"
আইনের দৃষ্টিতে দুদক, তদন্তকারী সংস্থা যদি মনে করে বেনজির আহমদের সম্পদে নিয়ে বড় রকমের অসঙ্গিত আছে, তাদের উচিত তদন্ত করা। তাদের অবস্থান থেকে দুদক ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ।
নূর মোহাম্মদ বলেন, "কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি, বেনজির আহমেদ কিশোরগঞ্জের টেক্সটাইলের জন্য জেলার সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে তাকে দেখানো হয়েছে। এটা তাকে জিজ্ঞাসা করে রিপোর্টটি করলে আরও ভালো হতো যে, আপনার ট্যাক্স ফাইলে এইগুলো আছে কিনা। যে বাড়ি-ঘর, প্লট-ফ্ল্যাট, রিসোর্টের কথা বলা আছে, সেইগুলো ট্যাক্স ফাইলে আছে কিনা। যদি এখানে না থাকে, তাহলে এটাকে অসঙ্গতি ধরতে পারবেন।"
এখন আইনের দৃষ্টিতে দুদক, এনবিআর যদি মনে করে এখানে অনেক বড় আকারের অসঙ্গতি আছে, তাদের অবস্থান থেকে ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন নূর মোহাম্মদ।