ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ৯ জ্যেষ্ঠ নেতা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় যান তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এক ঘণ্টার সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “উনি (বেগম খালেদা জিয়া) অসুস্থ, বন্দি অবস্থায় আছেন। আজকের আমরা এখানে উনার সাথে দেখা করেছি। এটি পুরোপুরি সৌজন্যমূলক একটি সাক্ষাৎ ছিল। এখানে আমরা কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি।
“তবে তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো তিনি রাজনৈতিক কারণেই বন্দি হয়ে আছেন। আমরা যেটা মনে করি, আমরা যেটা সবসময় বলে আসছি তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত এবং উন্নত চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত।”
ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি আপনাদের মাধ্যমে সারা জাতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দোয়া চেয়েছেন- তিনি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন, তিনি ভালো থাকেন।
“তিনি (খালেদা জিয়া) এটাও বলেছেন, তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছেন, রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য তিনি রাজনীতি করেছেন… রাজনীতি করছেন। এখন যে তিনি অসুস্থ অবস্থায়, বন্দি অবস্থায় আছেন-বলা যেতে পারে সেটাও রাজনীতির জন্য।”
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় বিএনপি নেতাদের
পরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অলি বলেন, “দীর্ঘদিন পর আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে দেখা করতে এলাম। উনার অবস্থা দেখে মনে হয়েছে সরকার কত অমানবিক।”
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।
তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।