ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিচারপতিরা আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় কথা বলে। যুবলীগ-ছাত্রলীগের ভাষায় কথা বলে পুলিশ। তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? মানুষের প্রতিকার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী দল আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, দেশটা তাপদাহে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। এজন্য দায়ী সরকার। এটি সরকারের ভুল নীতির জন্য। সরকার তথাকথিত উন্নয়ন দেখানোর জন্য প্রকৃতির শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করে দিয়েছে কৃত্রিমভাবে। একটি দেশের বন-বাগান উজাড় করে, তথাকথিত উন্নয়নের নামে গাছপালা কেটে, এক বিষাক্ত নগর বানিয়েছে সরকার।
রিজভী বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, দেশ তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। আর বাদ বাকি মানুষ দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। তারা যেভাবে বলবে, সেভাবেই চলবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, সহঅর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি ইমতিয়াজ বকুল এবং যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত।
এদিকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় রিজভী বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে অবহেলিত শ্রমিক সমাজ। শ্রমিক সমাজের এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর।