রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথিত প্রেমিক এবং তার বন্ধুরা ওই ঘটনা ঘটায়। উদ্যানের তিন নেতার মাজারের পেছনে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পাশবিকতার শিকার এই নারী একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের স্টাফ রিপোর্টার।
ধর্ষণে জড়িত থাকার সন্দেহে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে কাবিলা ওরফে মোস্তফা নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই নারী সাংবাদিক কথিত প্রেমিক নাঈমসহ পাঁচজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর-১৭। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শাহীন, রুবেল, ইমরান ও হাবিব।
তবে আসামিদের পরিচয় জানাতে পারেননি বাদী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের ওই নারী সাংবাদিক হাজারীবাগ এলাকায় থাকেন। ১০ দিন আগে নাঈমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের পর থেকে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেখা করত। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই তরুণীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডেকে আনেন নাঈম। আড্ডার নামে রাত ১১টা পর্যন্ত কালক্ষেপণ করেন তিনি।
পরে শাহীন, রুবেল, ইমরান, হাবিবসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাত যুবক নাঈমের সঙ্গে যোগ দেন। নাঈম যুবকদের বন্ধু বলে পরিচয় করিয়ে দেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় তিন নেতার মাজারের পেছনে আনসার ক্যাম্পের পাশে ওই তরুণীকে ছুরির মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন নাঈম ও তার বন্ধুরা।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ‘ধর্ষণের পর রাত সোয়া ১২টার দিকে ওই তরুণী রিকশাযোগে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। নীলক্ষেত মোড়ে পৌঁছলে টহল পুলিশ তার গতিরোধ করে। পুলিশ ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। টহল পুলিশ তরুণীকে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসে।
তরুণীর অভিযোগের পর ৪ প্লাটুন পুলিশ রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালায়। ঘণ্টাব্যাপী তল্লাশি চালালেও কাউকে আটক করতে পারেনি।