নারায়ণগঞ্জে সাত খুন, র্যাবের ভূমিকাসহ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বুধবার জাতিসংঘসহ ১৩টি উন্নত দেশের প্রতিনিধির নানা কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
বৈঠকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকেক জানায়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল, রাশিয়া, জাতিসংঘসহ উন্নত দেশগুলোর কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠককালে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন, মানবাধিকার পরিস্থিতি, র্যাব বিলুপ্তি বিতর্ক এবং সম্প্রতি শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তারা অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি র্যাবের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছেন।
সূত্র আরো জানিয়েছে, সরকারের অবস্থান তুলে ধরে কূটনীতিকদের প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও ড. গওহর রিজভী।
বৈঠক সূত্র আরো জানিয়েছে, বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে কূটনৈতিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গওহর রিজভী বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে সেটি হতে হবে সংবিধান ও সংসদীয় গণতন্ত্র অনুযায়ী।’ আলোচনার ক্ষেত্রে বিএনপির আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলেও কূটনৈতিকদের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।কিন্তু কূটনীতিকগন অবিলম্বে বিরোধীদলের সাথে আলোচনা করে সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারকে তাগিদ দেন।
নারায়গঞ্জের সাত খুনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম কূটনীতিকদের বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিদেশর্না দেয়া হয়েছে।’ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৈঠক সূত্রের দাবি, গুম-খুনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কূটনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি পরিস্থিতি দ্রুত উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।