নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডারের ঘটনায় চাকরিচ্যুত তিন র্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে হাইকোর্টতো কোনো সময় বেঁধে দেননি। তাই গ্রেফতারে বিলম্ব আদালত অবমাননা হবে না বলে মনে করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তবে তাদের গ্রেফতারে বিলম্বের কারন আর সময়ক্ষেপনে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিতে পারে কিনা এ প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।উল্লেখ্য অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে সাবেক নৌ অফিসার রানা লাপাত্তার খবর গতকাল গনমাধ্যম আসলে জনমনে প্রভুত সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বুধবার সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহবুবে আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনাকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ঘটনার পর তাদেরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট স্বতপ্রণোদিত এক রুলে বেশ কিছু অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন।
ওই আদেশের পর বিবাদীদের কাছ থেকে আমরা তদন্তের ৬টি অগ্রগতি প্রতিবেদন পেয়েছি। তিনি বলেন, সিআইডি, র্যাব, আইজিপি, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং হাইকোর্টের আদেশে গঠিত কমিটিগুলোর পক্ষ থেকে এসব রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে কাজ চলছে বলে এসব প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
র্যাবের সাবেক কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে কোনো আবেদন করবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, সেটা আমি এখন বলতে পারবো না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় র্যাব ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অন্যদের জড়িত থাকার অভিযোগসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৭ মে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ কমিটি বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেন।