নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারকে অপহরণ ও খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করতে অভিযান চলছে।
তবে শত শত কোটি টাকার মালিক এই নূর হোসেনের বাড়ীর ব্যবহার্য পুরাতন জিনিষপত্র ক্রোক করা কে লোক দেখানো আই ওয়াশ বলেও মনে করছেন অনেকে।
এসময় বাড়ি থেকে আট রাউন্ড গুলিসহ রিভলবার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের টেকপাড়ায় নূর হোসেনের মালিকানাধীন ভবনের নিচ তলার কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ইতোমধ্যে ওই ভবন থেকে মালামাল ক্রোক করে গেটের বাইরে আনা হয়েছে। স্থানীয় ৫ জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ৫০ সদস্যের একটি পুলিশ টিম এ ক্রোক অভিযান করছে
পুরো ক্রোক অভিযানের তদারকি করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এনডিসি আবুল কাশেম শাহীন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মন্ডলের এক আবেদনের প্রেক্ষিত্রে বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিন এক আদেশে নূর হোসেনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান আদেশের সত্যতা স্বীকার করেছেন। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরদিন ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান করে মামলায় আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে। গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় র্যাব-১১ এর কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের পরিবারের সদস্যরা। প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবকে দিয়ে ওই সাতজনকে হত্যা করিয়েছেন নূর হোসেন। এর পর থেকেই পলাতক রয়েছে নূর হোসেন।