ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কোটা সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের ওপর বৃহস্পতিবার প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতি হামলা করেছে পুলিশ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত পরিস্থিতি শান্ত না করে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। তার পাশে আরেক জন হামলার ভিডিও ধারণ করেছেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির পুলিশের এ হামলার পেছনে ইন্ধন ছিল। তবে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তকে ফোন করা হলে তিনি দীর্ঘক্ষণ চুপ থেকে ফোন কেটে দেন। পরে ফের ফোন করা হলে তিনি কল কেটে দেন। এরপর আর ফোন ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এখানে আমার কোনো ইন্ধন নেই। হামলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার কনসার্নও ছিল না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত এএসপি এমরানুল হক মারুফ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়ে আমরা পরে ব্যবস্থা নেবো তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন এভাবে রাস্তা ব্লক করে রাখলে দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা আজ শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে এখানে এসেছি।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা রওনা দিলে আনসার ক্যাম্পসংলগ্ন রাস্তায় পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষে উত্তেজনা দেয়। তখন পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের টিয়ার শেলে বার্তা টোয়েন্টিফোরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অনন মজুমদারসহ দুজন আহত হয়েছেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।