ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতের লোকসভা নির্বাচনের অভূতপূর্ব ফলাফল বহুমাতৃক এবং গুরুত্বপূর্ন ইংগিত বহন করে।এই নির্বাচনে মোদীর নয় ভারতের জনগনেরই বিজয় হয়েছে।তথাকথিত সেকুল্যার ভাবধারার ভরাডুবি হওয়াতে আমি মোটেও অবাক হইনি।
ভারতে কোনদল ক্ষমতায় আসবে এবং সেইদল কি সেকুল্যার না উগ্র ধর্মাশ্রয়ী, তা নির্ধারনের অধিকার রয়েছে শুধু মাত্র ভারতের জনগনের, অন্য কারও নয়।কিন্তু সদ্য শোচনীয় ভাবে পরাজিত কংগ্রেস, বাংলাদেশের জনগনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে, ৫ই জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচনে সমর্থন দিয়ে যে মস্ত বড় ভূল করেছিলো তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতের জনগন শুধু দল পরিবর্তন নয়,আসলে তাদের নেতাও পরিবর্তন করলো।ভারতের এই নির্বাচন ছিলো মোদীর সাথে সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধির সরাসরি যুদ্ধ।জনগন মোদীর মাঝে তাদের পছন্দসই নেতাকে খুজে পেয়েছে বলেই তারা বিপুল ভাবে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।বিগত কংগ্রেস সরকারের ঠুটো জগন্নাত প্রধানমন্ত্রী মনোহন সিং এবং পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন আসল ক্ষমতাশালী সোনিয়া গান্ধি,ব্যাপারটা তাদের অস্বস্থিরতার বড় কারন হয়ে দাড়িয়েছিলো।আর মোদীর তুলনায় নবীন রাহুলকে ভারতের জনগন এখনও পরিপক্ষ মনে করছে না বলে মনে হয়।
বাংলাদেশের জনগন যদি ১৯দলীয় মৌলবাদী-সন্ত্রাসী জোট(আওয়ামীলীগের ভাষায়)কে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে চায়, তাতে ভারত বা অন্য কোনো দেশের কি বলার থাকতে পারে?ভারতে বিজেপির এ বিজয়ে আমি উল্লসিত এই কারনে যে বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারী যদি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতো তবে আওয়ামী জোটের অবস্থা অবশ্যই তাদের প্রিয় কংগ্রেস জোটের মতোই হতো এবং এখনও সুষ্ঠু নির্বাচন করা গেলে ,আওয়ামী লীগের পতন সুনিশ্চিত।
পতনের শব্দ যখন শোনা যায় ,তখন সেনাবাহিনী,ডিজিএফআই,বিজিবি,র্যাব,পুলিশ,আনসার এবং স্বশস্ত্র ক্যাডারদের দিয়েও তা ঠেকানো যায় না।
আমরা আশা করবো বিশ্বের বৃহত্তম গনতান্ত্রীক দেশ হিসাবে ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের জনগনের আশা আকাংখার প্রতি যথাযথ সন্মান প্রদর্শন করবেন এবং অনতি বিলম্বে বাংলাদেশে নতুন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সহায়তা করবেন।
সেই নির্বাচনে জনগনের রায় যে দল পাবে ,তাদের সাথে স্বাচ্ছন্দে কাজ করে যাবে ভারত সরকার,আর শুধু মাত্র এ পথেই হতে পারে দু দেশের ভূল বোঝাবুঝির অবসান,হবে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন।