DMCA.com Protection Status
title="৭

জামালপুর জেলা কারাগারে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ, নিহত ৬

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জামালপুর জেলা কারাগারে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে ছয় বন্দী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলার, কারারক্ষী ও বন্দীসহ ১৯ জন আহত হয়েছেন। জেলারের কার্যালয়, হাসপাতাল, আটটি ওয়ার্ডে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বন্দীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. আরমান, মো. রায়হান, মো. শ্যামল, ফজলে রাব্বি ওরফে বাবু, মো.জসিম ও মোহাম্মদ রাহাত। তাদের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী।

শুক্রবার দুপুরে কারাগারের ঘটনায় বিস্তারিত জানান জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ। তিনি বলেন, গতকাল দুপুরে প্রথমে বন্দীরা দুই দলে বিভক্ত হন এবং তাঁরা উভয়ের মধ্যে মারামারি শুরু করেন। তাদের মধ্যে একটি দল আমাকে এবং আমার কারারক্ষীদের জিম্মি করে গেট খুলে দিতে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে অন্য কারারক্ষীরা আমাকে উদ্ধার করেন। পরে বন্দীরা পুরো কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভেতরে তাণ্ডব চালান। বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় অনেকেই দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এতে অনেক বন্দী দেয়ালের ওপর থেকে পড়ে যান। কারাগারের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ছুটে আসেন। তাঁরা পুরোপুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, কারাগার থেকে ছয়জনের লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর কার কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!