DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

খুনি পলাতক হাসিনা নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার নাহিদা আহসানকে চায় না প্রবাসী বাংলাদেশীগন

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার কানাডাতে পাঠানোর জন্য এমন সব রাষ্ট্রদূত নির্বাচন করেছে, যাদের প্রধানতম এজেন্ডা ছিল কানাডায় অবস্থানরত তার বাবার হত্যাকারীদের বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠানোর চেষ্টা করা।  শেখ হাসিনার খুব আস্থাভাজন ব্যক্তি ব্যতীত কোন নিরপেক্ষ কর্মকর্তা কানাডায় রাষ্ট্রদূত হয়ে আসা সম্ভব ছিল না।  এজন্য কখনো অথর্ব, কখনো ডা. খলিলুর রহমানের মতো দলকানা, চাটুকার অফিসার কানাডায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়েও এসকল দলদাস রাষ্ট্রদূতেরা দূতাবাসকে রাজনৈতিক দলের অফিস হিসাবে ব্যবহার করেছে।

কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্র জনতার অভূতপূর্ব জাগরণে দেশ থেকে অত্যাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিদায় নিয়েছে ও আজ নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ  ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন তত্বাবধায়ক সরকার শপথ নিয়েছে। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দু:সংবাদ এই যে, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতার শেষ দিকে কানাডায় আবারো নিজের পছন্দের দলকানা কর্মকর্তাকে রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন।  

কানাডা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হয় সত্বেও সিনিয়র কর্মকর্তাদের টপকিয়ে নাহিদা সোবহানকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যিনি একটি আওয়ামী পরিবারের সন্তান।  এই রাষ্ট্রদূতের বাবা ডাঃ আবদুস সোবহান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত চিকিৎসক। তার চাটুকারিতা এই পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তিনি ২০২২ সাল থেকে  নিজের নামের আগে শেখ ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন এবং তার বাবার সাথে শেখ মুজিবের  ছবি খবরের কাগজেও ছাপিয়েছিলেন।  

শেখ হাসিনা ২০২৩ সালে কাতারে সরকারি সফরে এসেছিলেন।  সেসময় নাহিদা সোবহান ছিলেন জর্দানে রাষ্ট্রদূত। তা সত্বেও তিনি প্রটোকল ভেঙে কাতারে এসে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান।  ( ছবি )  
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিদায় নিলেও বাংলাদেশী প্রবাসীদের  এখন হাসিনার নিয়োগকৃত আওয়ামী রাষ্ট্রদূতকে সহ্য করতে হবে।  বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দলমত নির্বিশেষে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী স্বৈরাচারী হাসিনার প্রতি তীব্র ঘৃণা পোষণ করছে।  এই অবস্থায় শেখ নাহিদা সোবহানকে সহ্য করা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।  বাংলাদেশ দূতাবাসকে আমরা আর আওয়ামী লীগের অফিস হতে দিতে পারি না।  এই  অবস্থায় কানাডায় রাষ্ট্রদূত হিসাবে নাহিদা সোবাহানের নিয়োগ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এবং সেটা ১২ ই আগস্টের পূর্বেই যেদিন তার কানাডাতে প্রবেশ করার কথা রয়েছে।

একই সাথে দূতাবাসে নিযুক্ত একাত্তর টিভির আওয়ামী পা চাটা সাংবাদিক কুখ্যাত মদ্যপ মোজাম্মেল বাবুর সহযোগী মিথিলা ফারজানার নিয়োগ বাতিল করবার দাবি জানাই। মিথিলা কোন যোগ্যতা ছাড়াই শুধুমাত্র হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কানাডার মত একটি দেশে নিয়োগ পেয়েছে। অবিলম্বে তাকে দেশে ফেরত নেয়ার দাবি জানাই। 

এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মী থেকে কূটনীতিক বানানো অপর্ণা পাল, যাকে দীর্ঘ বারো বছর ধরে দূতাবাসে রাখা হয়েছে জনগণের টাকায়, তার নিয়োগও অবিলম্বে বাতিল করবার জোর দাবি জানাই। সে দূতাবাসকে আওয়ামী লীগের ঘরবাড়িতে পরিণত করেছে। ছাত্রদের এই আন্দোলন নিয়ে তার ও তার ছাত্রলীগ নেতা স্বামীর ফেসবুকে বিকৃত, অবমাননাকর ও নোংরা পোস্টগুলো এখনো দৃশ্যমান। 


অনতিবিলম্বে এদের সবাইকে প্রত্যাহার করে যোগ্য ও নির্দলীয় জনবল নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। না হলে কানাডাবাসী সকল শ্রেণীপেশার মানুষ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!