ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পানির অতিরিক্ত স্রোতে আরো একটি সেতুতে ধস লেগেছে। এতে আখাউড়ার সঙ্গে কসবা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে ঝুঁকিতে রয়েছে আরও একটি সেতু।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে নেমে আসা পানিতে আখাউড়া উপজেলার অন্তত আটটি স্থানে আঞ্চলিক সড়ক ভেঙে গেছে। ফলে ওইসব এলাকায় সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আখাউড়ায় মোট ১০০টির মতো পরিবার স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আখাউড়ার সীমান্তবর্তী চারটি ইউনিয়নের ৩৪টি গ্রামের অন্তত ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকার ধানের জমি, শাকসবজির জমিসহ বিভিন্ন মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়া এখনো পর্যন্ত আখাউড়া-আগরতলা সড়ক যোগাযোগ এবং স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকিতে থাকা সেতুটি ধসে গেলে পৌর এলাকার দেবগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে অচল হয়ে পড়বে। কেননা, ওই দুটি সেতু গ্রামটির প্রবেশ ও বাহির মুখে অবস্থিত।
এদিকে সেতু দুটির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি মাটি থেকে সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন এখন।
স্থানীয়দের সূত্রে ও সরজমিনে জানা যায়, পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিলের সংযোগস্থলের সেতু বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত নয়টা থেকে ঝুঁকির মধ্য পড়ে। সেতুর এক পাশের দেয়াল ধসে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসে গাছ ফেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানেও দুটি বৈদ্যুতিক খুটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।