DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

এই লাশের স্তূপ, এই হাসিনা সরকারের ভয়াবহ রূপ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন তার প্রকৃত হিসাব হয়তো কোনোদিন জানা যাবে না। কারণ ওই সময় রাজধানীর অনেক হাসপাতালে যেতেই নানা বাধা-বিপত্তি ছিল। অনেকে ঝামেলায় পড়বেন ভেবেও নিহত স্বজনের লাশ নিয়ে হাসপাতালে যাননি। এমন অনেক নিহত ব্যক্তিই হয়তো হিসাবের বাইরে রয়ে গেছেন।

আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও যে কিছু লাশ সরিয়ে ফেলেছেন তা আন্দোলন শেষ হওয়ার পর থেকেই স্বজনরা অভিযোগ করে আসছেন। কিন্তু এই বিষয়টি তেমন একটা আলোচনায় নেই বললেই চলে। এরই মধ্যে হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যানের ওপর অনেকগুলো লাশ। লাশগুলো ওয়ালক্লথ বা এইরকম কিছু  একটি দিয়ে ঢেকে রাখা। তার ওপর আরও একটি লাশ পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তিসহ দুইজনে ছুড়ে লাশের স্তূপের ওপর রাখেন। তার পাশেই পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যকে হেলমেট ও অস্ত্রসহ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

 ধারণা করা হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলন চলার সময় নিজেদের গুলিতে নিহতদের পুলিশ সদস্যরা এক জায়গায় করে ভ্যানে কোথাও নিয়ে গিয়েছিল। আর ভিডিওটি পার্শ্ববর্তী কোনো ভবন থেকে লুকিয়ে করা হয়। তবে ঘটনাস্থলের ঠিকানা এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে অনেকে লিখছেন, আন্দোলনের সময় কেন ইন্টারনেট অফ রাখা হয়েছিল ভিডিওতে দেখুন।

এদিকে, এএফপির ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদরুদ্দিন শিশির ফেসবুকে এক পোস্টে ভিডিওটির লোকেশন সম্পর্কে লিখেন, ‘এই ভিডিওটির লোকেশন এবং সময় জানতে অনেকে নক করেছেন। কিন্তু ভিডিওর যে কোয়ালিটি তাতে এটিকে জিওলোকেট করা সম্ভব হচ্ছে না। এক স্পটে অনেক মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেছে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা এবং সাভারে। কিন্তু যাত্রাবাড়ীর ঘটনাস্থলের সাথে এই ভিডিওর ঘটনাস্থলের ফিচারগুলো মিলছে না।

এই দুইজন ব্যক্তিকে চিনতে পারলে ঘটনাস্থল বের করা সম্ভব হতে পারে। আবার দেয়ালে একটা পোস্টার দেখা যাচ্ছে ভিডিওর শেষ দিকে। কিন্তু সেটি পড়া যাচ্ছে না।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!