ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চীন সরকার বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সাথে যোগাযোগ করেছে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জামায়াতে ইসলামীকে একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল হিসেবে অভিহিত করেছেন। সম্প্রতি ঢাকায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। ভারত সরকারের সূত্র এই পদক্ষেপকে ‘অদ্ভুত’ বলে অভিহিত করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদূত ও আমির বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন এবং উভয় দেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০১০ সালের পর এটিই প্রথম বিদেশি কূটনীতিকের জামায়াত অফিসে সফর। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের কারণে পুলিশ অফিসটি সিলগালা করে দিয়েছিল। আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এটি পুনরায় চালু হয়।
জামায়াতের আমিরের সঙ্গে বৈঠকের পর চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে একটি সুন্দর দেশ হিসেবে প্রশংসা করেন এবং জামায়াতে ইসলামীকে সুসংগঠিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবে।
শেখ হাসিনার আমলে ভারতের পর চীনকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখা হতো।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে সুসংহত করতে এবং চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের ক্রমাগত উন্নয়নকে আরও উন্নত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, সকল রাজনৈতিক দল এবং সর্বস্তরের জনগণের সাথে আদান-প্রদান ও সহযোগিতা গভীরতর করতে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দুই দেশ এবং তাদের জনগণের জন্য আরও সুবিধা আনবে।’
জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে চীনের বিরাট অবদানের প্রশংসা করেছেন।
তিনি এক-চীন নীতির প্রতি জামায়াতের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। তিনি চীনকে বিনিয়োগ ও রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে আরও সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।