বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ারমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে গুলিবিনিময় চলছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির পাইনছড়ি ৫২ নং সীমান্ত পিলার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
নিখোঁজ বিজিবি কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের লাশ সনাক্ত করতে বিজিবি কর্মকর্তারা ৫২ নং পিলার এলাকায় গেলে বিজিবি সদস্যদের ওপর গুলি চালায় মিয়ানমারের বিজিবি সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শফিকুর রহমান।
বিজিবি সূত্রমতে, নাসাকা বাহিনীর হাতে নিহত বাংলাদেশির লাশ সনাক্ত করতে গেলে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা বিজিবি সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় শুরু হয়।
বিজিবি কর্মকর্তা শফিকুর রহমান দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ কে বলেন, মিয়ানমারের বিজিপি প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর পাল্টা গুলি চালায় বিজিবি সদস্যারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় চলছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল টিমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে বিজিপি। সেই সময় নিখোঁজ হন নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান। তাকে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার দুপুরে মিজানুর রহমানের লাশ সনাক্ত করতে গেলে বিজিবির ওপর গুলিবর্ষণ করে বিজিপি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনায় মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মায়ো মিন্টথানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। সীমান্ত থেকে বিজিবির সদস্যকে আটক করায় কঠোর ভাষায় রাষ্ট্রদূতকে তিরস্কার করা হয়। একই সঙ্গে সীমান্তরক্ষীদের কাছে আটক বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমানকে অতি দ্রুত ছেড়ে দেয়ারও দাবি জানানো হয়েছিল।
এরপর শুক্রবার নিখোঁজ বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমানকে ফিরিয়ে দিতে বিজিবি ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় বৈঠক। এরপরই নাইক্ষ্যংছড়ির দোছাড়ি সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।