দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ অনুসন্ধানঃ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্যঅবদানের জন্য বিদেশী বন্ধুদের আবার নতুন করে ক্রেস্ট দেয়া হবে বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশের হাইকমিশন বা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে এ ক্রেস্ট দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ছাড়া জাল ক্রেস্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পরিশোধিত বিল পুনরুদ্ধারও করা হবে। তবে এসব পদক্ষেপ নেয়া হবে সংসদীয় উপকমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর।
বিদেশী বন্ধুদের সম্মাননা প্রদান বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশসংক্রান্ত আইনজীবী মনজিল মোরসেদের আইনি নোটিশ ‘ডিমান্ড জাস্টিস’-এর জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত চিঠিটি সোমবার আইনজীবী মনজিল মোরসেদের চেম্বারে পৌঁছায়।
চিঠিতে বলা হয়, “বিষয়টি সংসদীয় উপকমিটির তদন্তাধীনে রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সরবরাহকারী কোম্পানিকে পরিশোধিত বিল পুনরুদ্ধার এবং নতুন ক্রেস্ট তৈরি করে বিদেশে বাংলাদেশের হাইকমিশন/রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বিদেশি বন্ধুদেরকে প্রদান করা ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।”
গত ১৯ মে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠান। বিদেশী বন্ধুদের দেয়া ক্রেস্টে ভেজাল নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এক শহীদপরিবারের সদস্যের পক্ষে আদালতে রিট করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সেখানে বিদেশী বন্ধুদের নতুন করে ক্রেস্ট দেয়া ও আগে পরিশোধিত বিল পুনরুদ্ধারের আবেদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননার সময় দেয়া ক্রেস্টে যে পরিমাণ স্বর্ণ থাকার কথা ছিল, তা দেয়া হয়নি।এধরনের লজ্জাজনক জালিয়াতি করে প্রায় সাড়ে সাতকোটি টাকা আত্মাসাৎ করেছে সংশ্লিষ্টরা বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্বাধীনতার চার দশক পূর্তি উপলক্ষে সাত পর্বে ৩৩৮ বিদেশি ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে অন্যান্য উপহারসামগ্রীর সঙ্গে একটি করে ক্রেস্ট দেয় সরকার। তিন শ্রেণীতে এ সম্মাননা দেয়া হয়্- বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা ও মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা।