সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে অপহৃত হওয়ার সাড়ে তিন বছর পর অবশেষে দেশে ফিরেছেন সেই সাত নাবিক। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (ইকে-৫৮২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ওই নাবিকদের আত্মীয়রা এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃঅনুবিভাগ পরিচালক নীপেন্দ্র দেবনাথ বিষয়টি দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ কে নিশ্চিত করেছেন।
দেশে ফেরা নাবিকরা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুরের গোলাম মোস্তফা, ধুলিহর ইউনিয়নের ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান, একই গ্রামের নূরুল হক, সাতক্ষীরার আশাশুনির কুল্যার আবুল কাশেম, চাঁদপুর জেলার লিমন সরকার এবং চট্টগ্রামের আমিনুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ার পতাকাবাহী এমভি আলবেদো থেকে এই নাবিকদের অপহরণ করেছিল সোমালীয় জলদস্যুরা। এরপর থেকে তারা জলদস্যুদের হাতেই বন্দী ছিলেন।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিভাগ (ইউএনওডিসি) এবং কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় কোনো রকম মুক্তিপণ ছাড়াই এ নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপহরণের পর থেকেই নাবিকদের মুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে তৎপরতা অব্যাহত ছিল।
জানা গেছে, অপহৃত ২২ নাবিকের সাত জন বাংলাদেশের, সাত জন পাকিস্তানের, ছয়জন শ্রীলঙ্কার, একজন ভারত ও অপরজন ইরানের নাগরিক।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্স জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ৭ জুলাই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় এমভি আলবেদো ডুবে যায়। নাবিকদের তখন নাহাম-৩ নামে ছিনতাই করা আরেকটি জাহাজে তোলা হয়।
জিম্মিদের পরিবারের বরাতে জানা গিয়েছিল, পকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা তাদের নাবিকদের মুক্তিপণ দিয়ে ২০১২ সালে ছাড়িয়ে নেয়।